এবার বিজেপি শাসিত রাজ্যে গণপ্রহারের শিকার স্বামী অগ্নিবেশ
ঝাড়খণ্ডে বিজেপি যুব মোর্চা এবং এবিভিপির কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হলেন স্বামী অগ্নিবেশ।
মঙ্গলবারই গণহিংসার ঘটনা একেবারেই মানা হবে না বলে সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট। আর সেদিনই নজিরবিহীন গনপ্রহারের শিকার হলেন সমাজকর্মী স্বামী অগ্নিবেশ। ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলায় এবিভিপি ও বিজেপির যুব মোর্চার কর্মীরা তাকে মাটিতে ফেলে ইচ্ছামতো কিল, চড়, ঘুসি চালালো। তাদের অভিযোগ এলাকার আদিবাসীদের খ্রীষ্ট ধর্মে ও পাকিস্তানের পথে চালিত করতে এসেছেন অগ্নিবেশ। ঘটনায় ভালরকম আঘাত পেয়েছেন তিনি। চিকিৎসা চলছে।
ঘটনার এক ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে পাকুরের একটি ভবনের বাইরে কালো পতাকা হাতে অপেক্ষা করছিলেন বেশ কয়েকজন বিজেপিকর্মী। তাদের মুখে ছিল 'স্বামী ফিরে যান' স্লোগান। অগ্নিবেশ বেরতেই বিজেপি কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে তার উপর। চড়-থাপ্পর মারতে মারতে তাঁকে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। তারপরেও তার উপর লাথি বৃষ্টি হতে দেখা যায়।
এরপর ওই অঠ্চল ছেড়ে মেইন রাস্তার উপর যুব মোর্চা ও এবিভিপির কর্মীরা অবস্থানে বসেন। তাঁদের অভিযোগ অগ্নিবেশ পাকুরে এসেছেন আদিবাসীদের বিপথগামী করতে। তাই তাকে পাকুর ছাড়তে হবে।
আহত অগ্নিবেশকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার শরীরে বেশ কয়েক জায়গায় কালশিটের দাগ রয়েছে, হাতে পায়ের অনেক জায়গায় ছড়েও গিয়েছে। তাঁর চিকিৎসা চলছে।
এর আগেও অব্শ্য বেশ কয়েকবার বিজেপির মিশানা হয়েছেন স্বামী অগ্নিবেশ। আন্না হাজারের সঙ্গে ২০১১-য় গুজরাত সফরে গিয়ে এক বিদেপি মোহান্তর কাছে চড় খেয়েছিলেন তিনি। অমরনাথের শিবলিঙ্গ কৃত্রিম ভাবে তৈরি বলে মন্তব্য করার জন্য তাঁকে মারা হয়েছিল।
এদিনের আক্রমণের পর তিনি বলেছেন, 'আমি যে কোনও রকম হিংসার বিরোধী। জানি না কেন আমার উপর হামলা হল।'