শরীরে চিপ, নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে রিমোটে! বিস্ফোরক দাবি দোভালের বাড়িতে ঢোকা সন্দেহভাজনের
প্রশ্নের মুখে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের (NSA Ajit Doval) নিরাপত্তা। আজ বুধবার সকালে এক সন্দেহভাজন গাড়ি নিয়ে অজিত দোভালের সরকারি বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাড়ির দরজার সামনেই ওই সন্দেহভাজনকে আটক করেন নির
প্রশ্নের মুখে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের (NSA Ajit Doval) নিরাপত্তা। আজ বুধবার সকালে এক সন্দেহভাজন গাড়ি নিয়ে অজিত দোভালের সরকারি বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাড়ির দরজার সামনেই ওই সন্দেহভাজনকে আটক করেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
কিন্তু কেন ওই ব্যক্তি অজিত দোভালের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। ইতিমধ্যে ওই ব্যাক্তিকে জেরা শুরু করেছে পুলিশ। আতঙ্ক তৈরি করতেই এই ঘটনা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারন আছে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তি মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন। শুধু তাই নয়, যে গাড়ি চালাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি সেটিও ভাড়ার। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তিকে আটক করার পরে সে কিছু বলার চেষ্টা করছিল। শুধু তাই নয়, ওই ব্যক্তি জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তাঁর শরীরে নাকি চিপ লাগানো আছে।
আর তা রিমোট থেকে কন্ট্রোল করা হচ্ছে বলে বিস্ফোরক দাবি করেছে সে। কিন্তু ওই ব্যক্তির শরীরে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি বলেই জানা যাচ্ছে।
বলে রাখা প্রয়োজন, সিআইএসএফের তরফে উচ্চস্তরের নিরাপত্তা পান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। স্বরাষ্ট্রমনন্ত্রকের তরফে Z+ ক্যাটাগোরির নিরাপত্তা দেওয়া হয় তাঁকে। পুলিশ সুত্রের খবর, সন্দেহজনক ব্যক্তি কর্নাটকের ব্যাঙ্গালুরুর বাসিন্দা। তাঁর নাম শান্তনু রেড্ডি বলে দাবি করা হয়েছে।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালে ভাড়ায় নেওয়া একটি লাল রঙের গাড়ি নিয়ে দোভালের বাড়ির সামনে পৌঁছয়। সমস্ত রকম সুরক্ষা ব্যবস্থাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই দোভালের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ ওই ব্যাক্তি। আর এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে অভিযোগ।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসাবে কর্মরত অজিত দোভাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর খুবই একজন বিশ্বস্ত 'সৈনিক'। বর্তমানে চিন এবং পাকিস্তান ভারতের ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে। এই অবস্থায় সীমান্তে দুই শত্রু দেশকে সামাল দিতেই ঘুঁটি সাজাচ্ছে দোভাল। এই অবস্থায় এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে দোভালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
যদিও তদন্তকারীদের প্রাথমিক ঘটনা এর পিছনে অন্য কোনও বড় ঘটনা নেই। আতঙ্ক তৈরি করতেই ওই যুবক এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি।
উল্লেখ্য ১৯৭২ সাল থেকে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা আইবি'র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন দোভাল। পাকিস্তানে থেকে একাধিক কাজ করেছেন ভারতের হয়ে। এমনকি ওপারেশন ব্লু স্টার এবং অপারেশন ব্লু থান্ডারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল দোভালের।