উত্তরপ্রদেশের হাসপাতালের আলাদা ওয়ার্ড থেকে পালিয়ে গেল করোনা আক্রান্ত রোগী
উত্তরপ্রদেশের হাসপাতালের আলাদা ওয়ার্ড থেকে পালিয়ে গেল করোনা আক্রান্ত রোগী
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের এক ব্যক্তিকে মির্জাপুরে। কিন্তু সেখান থেকে ওই ব্যক্তি পালিয়ে যান এবং পরে তাঁকে তাঁর বাড়ি থেকে ধরা হয়। ওই ব্যক্তিকে ফের হাসপাতালের বিচ্ছিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়, যেখান থেকে তিনি আগে পালিয়েছিলেন।
করোনা আক্রান্ত হাসপাতাল থেকে পালায়
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি সম্প্রতি নেপালে গিয়েছিলেন এবং গলার সমস্যা ও জ্বর নিয়ে ফেরেন। সোমবার তাঁকে জেলা হাসপাতালের বিচ্ছিন্ন ওয়ার্ডে রেখে দেওয়া হয়। তাঁর দেহের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ওই একই ওয়ার্ডে আরও দু'জন করোনা ভাইরাস সন্দেহে আক্রান্তদের ভর্তি রাখা হয়েছে। এঁদের মধ্যে একজন সম্প্রতি জাপান থেকে ঘুরে এসেছেন ও অন্যজন দুবাই থেকে।
সোমবার রাত প্রায় আটটা নাগাদ ওই তিনজন আক্রান্তর মধ্যে একজন ওয়ার্ডের নালি ভেঙে পালিয়ে যায়। জেলা প্রশাসনকে দ্রুত এ বিষয়ে জানানো হয় এবং জেলা প্রশাসন ওই ব্যক্তির খোঁজ শুরু করে দেয়। ওইদিন রাতের দিকে ওই ব্যক্তিকে তাঁর বাড়িতেই খুঁজে পাওয়া যায়।
করোনা আক্রান্ত মেয়েকে আশ্রয় দেওয়ায় বিপাকে বাবা
রবিবারও আগ্রাতে এক ব্যক্তির নামে এফাইআর দায়ের হয়। জানা গিয়েছে তাঁর মেয়ের সঙ্গে বেঙ্গালুরুর এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর বিয়ে হয়েছিল। তাঁর দেহে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখার পর তাঁকে একঘরে করে রাখা হয়। কিন্তু ওই মহিলা বেঙ্গালুরু থেকে আগ্রায় নিজের পরিবারের কাছে ফিরে আসে। এর আগে বেঙ্গালুরু ওই ইঞ্জিনিয়ারের দেহে কোভিড-১৯ পাওয়া গিয়েছিল, তাঁর স্ত্রীর শরীরেও একই ভাইরাস পাওয়া যায়। ওই দম্পতি সম্প্রতি বিদেশ সফর থেকে ফিরেছেন। ওই মহিলার বাবা তথা রেলকর্মীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৬৯ (অনিচ্ছাকৃত বা গাফিলতিতে জীবাণু সংক্রমণ বা রোগ ছড়িয়ে দেওয়া যা জীবনের জন্য বিপদজ্জনক) এবং ২৭০ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
যোগী রাজ্যেও বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৩ জনের শরীরে পজিটিভ করোনা ভাইরাসের উপসর্গ পাওয়া গিয়েছে। ৫৯৮ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ১০৭ জনের রিপোর্ট আসা এখনও বাকি রয়েছে।