ফের লালুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বিজেপির এই নেতার
বিহারের উপমুখ্য়মন্ত্রী সুশীল মোদীর অভিযোগ লালু ও তাঁর পরিবার টাটা গোষ্ঠীর কাছ থেকে বেনামে নামমাত্র মূল্য়ে সম্পত্তি কিনেছেন।
ফের একবার লালুর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিহারের উপমুখ্য়মন্ত্রী সুশীল মোদী। তাঁর নতুন অভিযোগ লালু ও তাঁর পরিবার টাটা গোষ্ঠীর কাছ থেকে বেনামে নামমাত্র মূল্য়ে সম্পত্তি কিনেছেন। শুধু তাই নয়, বিনিময়ে টাটাদের অবৈধ সুবিধাও পাইয়ে দিয়েছেন লালু।
কি বলেছেন এই বিজেপি নেতা? তিনি ২০০২ সালের একটি বিক্রয় চুক্তিপত্রের উল্লেখ করে বলেন, পাটনা এয়ারপোর্টের কাছে টাটা গোষ্ঠীর কাছ থেকে ৭১০৫ স্কোয়ার ফিটের দ্বিতল একটি বাড়ি কিনেছিল 'ফেয়ারগ্লো হোল্ডিং প্রাইভেট লিমিটেড' নামে একটি সংস্থা। সুশীল মোদী দাবি করেছেন এই কোম্পানীটি আসলে লালু প্রসাদেরই একটি ভুয়ো কোম্পানী। তাঁর আরও দাবি শুধু এই একটিই নয় এরকম আরও পাঁচটি ভুয়ো সংস্থা আছে লালুর। যাদের ব্যবহার করে লালু বেনামে সম্পত্তি কিনতেন। কীভাবে এই কাজ চলতো তাও বলেছেন সুশীল। তিনি জানান, এই সংস্থাগুলোর কোনওদিন কোনও লাভ থাকে না। আসলে এগুলো সব নামেই সংস্থা। প্রকৃতপক্ষে এদের না থাকে কোনও ব্যবসা, না কোনও কর্মচারী। এই সংস্থাগুলিতে লালুরা প্রথমে সামান্য় কিছু লগ্নি করেন, তারপর একদিন তারাই সংস্থার ডিরেক্টর হয়ে বসেন।
২০০২
সালে
যখন
ওই
বিক্রয়
চুক্তি
হয়েছিল
তখন
মুখ্যমন্ত্রীর
চেয়ারে
ছিলেন
লালু
জায়া
রাবড়ী
দেবী।
কালক্রমে
ওই
ধুকতে
থাকা
ফেয়ারগ্লো
সংস্থার
ডিরেক্টর
হয়ে
বসেন
লালু
পুত্র
তেজস্বী,
তেজ
প্রতাপ
ও
কন্য়া
রাগিনী।
আর
এভাবেই
টাটা
আয়রন
অ্যান্ড
স্টীল
কোম্পানীর
ওই
ঝাঁ
চকচকে
বাড়িটি
দখল
করেন
লালুর
পরিবার
বলে
সুশীলের
অভিযোগ।
আরজেডির
পক্ষ
থেকে
বলা
হয়েছে
সুশীল
প্রতিহিংসামূলক
রাজনীতি
করছেন।
টাটা
সংস্থা
অবশ্য
এখনও
কিছু
জানায়নি।
কিন্তু
কেন্দ্র
ও
রাজ্য
দু'জায়গাতেই
এনডিএ-এর
সরকার
রয়েছে।
তাহলে এবিষয়ে সুশীল তদন্ত করাচ্ছেন না কেন? জবাবে তিনি বলেন, লালুর পরিবারই ওই সম্পত্তির মালিক। তারা এব্যাপারে মুখ খুললেই ভাল। পাশপাশি তিনি বলেন, 'ইনকাম ট্যাক্স দপ্তরের উটিত টাটা গোষ্ঠীকে প্রশ্ন করা , কেন তারা একটা ধুকতে থাকা সংস্থাকে, ভূয়ো সংস্থাকে সম্পত্তি বিক্রি করেছিলেন। '