নীতীশের এনআরসি বিরোধিতার মাঝেই এনপিআরের দিনক্ষণ ঘোষণা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রীর
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এনআরসি-র বিরোধিতায় দেশজুড়ে চলছে বিক্ষোভ। এরই মাঝে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জানিয়ে দিয়েছেন যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে সমর্থন জানালেও বিহারে এনআরসি হতে দেবেন না তিনি। প্রসঙ্গত, এই জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা এনআরসি-র প্রথম ধাপ হিসাবেই এনপিআর-কে দেখছে বিরোধী দলগুলি। এবার নীতীশের এনআরসি বিরোধিতার মাঝেই তাঁর দেপুটি সুশীল কুমার মোদী জানিয়ে দিলেন যে সে রাজ্যে এনপিআর-এর কাজ হবে ১৫ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত।
সুশীল মোদীর বক্তব্য
এনপিআর প্রসঙ্গে সুশীল মোদী বলেন, 'দেশজুড়ে এনপিআর-এর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বিহারে সেটি হবে ১৫ মে থেকে ২৮ মে-এর মধ্যে।' তিনি আরও বলেন, 'এনআরসি ও এনপিআর দুটি আলাদা বিষয়। আর যেই যেই রাজ্য বলছে যে তারা সিএএ লাগু করবে না, আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে তাদের এক্তিয়ার নেই এই আইনটি লাগু না করার।'
সুশীলের মন্তব্য নাকচ জেডিইউ-র
এদিকে উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদীর এই মন্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত বলে মন্তব্য করেন বিহারের শিল্প মন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা শ্যাম রাজক। তিনি জানান তাদের দল বা মন্ত্রীরা এই বিষয়ে অবগত নয়। তিনি আরও বলেন, 'এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেনমুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এবং যদি এরকম কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তবে তিনি তা সরকারি ভাবে ঘেষণা করবেন।'
এনআরসির বিরোধিতা
উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ককেও কয়েকদিন আগে এনআরসির বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায়। যদিও তার পার্টি বিজু জনতা দলকে সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের পক্ষে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল। তবে তাঁর দল এনডিএ-র অংশ নয়। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব, কেরলের মুখ্যমন্ত্রীরা জানিয়ে দিয়েছেন যে তারা তাদের রাজ্যে এনআরসি প্রয়োগ করবে না। সিএএ-ও লাগু করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।
সিএএ ও এনআরসি বিরোধিতায় একজোট বিরোধীয়
সিএএ বিরোধিতায় এক হয়েছে দেশের প্রায় সব বিরোধী দল। কেরল বিধানসভায় সিএএ নিয়ে প্রস্তাব পাশ হয়েছে। সেখানে সিএএ বাতিলের দাবি করা হয়েছে। নিজেদের মধ্যে মতবিরোধ ভুলে প্রস্তাব পাশ করিয়েছে সিপিএম নেতৃত্বাধীন এলডিএফ এবং বিরোধী কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ। বিধানসভায় একমাত্র বিজেপি সদস্য প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন।
প্রতিবাদী রাজ্যগুলিকে বাদ দিয়েই এগোবে কেন্দ্র
কেন্দ্র ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সিএএ নিয়ে প্রতিবাদী রাজ্যগুলিকে বাদ দিয়েই পদ্ধতিতে তারা এগিয়ে নিয়ে যাবে। কেরলের পর তামিলনাড়ুতেও একইভাবে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন বিরোধী রেজলিউশন পেশ করতে চলেছে সেরাজ্যের বিরোধী দল ডিএমকে। পুদুচেরিতেও ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এরকম রেজোলিউশন পেশ করবে বলে জানিয়েছে।