
সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলায় গ্রেফতার অভিনেতার ফ্ল্যাটমেট সিদ্ধার্থ পিঠানি
গত বছরের জুন মাসে বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার ঘটনায় এনসিবি গ্রেফতার করল সিদ্ধার্থ পিঠানিকে। সিদ্ধার্থ সুশান্তের সঙ্গে একই ফ্ল্যাটে থাকতেন। আত্মহত্যার দিনও তিনি ওই ফ্ল্যাটেই উপস্থিত ছিলেন।
Recommended Video


জানা গিয়েছে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো হায়দরাবাদ থেকে পিঠানিকে গ্রেফতার করে। এর আগে একাধিকবার সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের সময় তাকে একাধিকবার কেন্দ্রীয় এজেন্সি জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। ২০২০ আলের ১৪ জুন মুম্বইয়ের বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় এম এস ধোনি খ্যাত সুশান্ত সিং রাজপুতের দেহ। তাঁর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই গোটা দেশ ও বলিউডে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। অনেকেই সুশান্তের এই মৃত্যুর পেছনে বলিউডের স্বজন পোষণকে দায়ী করেন। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে সুশান্তের জন্য বিচার চেয়ে সরব হন নেটিজেনরাও। প্রথমে এই ঘটনার তদন্ত বান্দ্রা পুলিশ করলেও পরে তা মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে চলে যায়। এরপর সুশান্তের বাবার আবেদনের ভিত্তিতে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের অনুরোধে কেন্দ্র সুশান্ত সিং হত্যা মামলার তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে দেয়। সিবিআইয়ের পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে ইডি ও নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই একাধিকবার সিদ্ধার্থ পিঠানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সুশান্ত সিং মামলায় বলিউড মাদক চক্র যোগ হয়ে যায় এবং যার ভিত্তিতে গ্রেফতার হন সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী। এছাড়াও এনসিবি দীপিকা পাড়ুকোন, সারা আলি খান, রকুল প্রীত, শ্রদ্ধা কাপুর সহ বলিউডের এ তালিকাভুক্ত তারকাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে সুশান্তের মৃত।উর ঘটনার মূল তদন্তে ছিল সিবিআই। বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখার পর সিবিআই শেষপর্যন্ত সুশান্তের আত্মহত্যায় কোনও খুনের ষড়যন্ত্র বা আত্মহত্যায় প্ররোচনার বিষয় পায়নি। সিবিআই শেষ পর্যন্ত জানিয়েছিল যে সুশান্ত মানসিক অবসাদে ভুগছিল, যার প্রমাণ রয়েছে মুম্বইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালের মনোবিদ এবং সুশান্ত ঠিকমতো ওষুধও খাচ্ছিলেন না যার ফলে তাঁর অসুস্থতা বেড়ে যায় এবং তিনি অবসাদগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। তাঁর আত্মঘাতী হওয়ার কিছুদিন আগেই তাঁর প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী সুশান্তের ফ্ল্যাট থেকে নিজের বাড়ি চলে এসেছিলেন। সুশান্তের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর কিছুদিন আগেই এনসিবির এই গ্রেফতার যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।