ভারতের সব থেকে বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রধানমন্ত্রীর দফতর, আরবিআই, দাবি রিপোর্টের
ভারতের সব থেকে বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রধানমন্ত্রীর দফতর, আরবিআই, দাবি রিপোর্টের
ইপসোস ইন্ডিয়ার সমীক্ষা অনুসারে প্রতিরক্ষা বাহিনী, আরবিআই এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দেশের থেকে বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান। চতুর্থস্থানে রয়েছে সুপ্রিমকোর্ট ও সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন। এই সমীক্ষায় সংসদ সপ্তম স্থানে রয়েছে। ভারতের সংবাদমাধ্যম অষ্টমস্থানে রয়েছে। আস্থা, সম্মানের ওপর বিশ্বস্ততা নির্ভর করে বলে সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছে।
সব থেকে বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান প্রতিরক্ষা বাহিনী
ইপসোস সমীক্ষা অনুসারে ভারতের সব থেকে বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান হল প্রতিরক্ষা বাহিনী। সমীক্ষা অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রতি তিন জনে দুই জন আস্থা প্রকাশ করেছেন। উত্তরদাতাতের ৬৫ শতাংশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষে সওয়াল করেছেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রিজার্ভ ব্যঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। সপ্তম স্থানে সংসদ। বিশ্বাসযোগ্যতা ক্রমেই হারাচ্ছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। ইপসোস সমীক্ষায় সংবাদমাধ্যম অষ্টমস্থানে রয়েছে। নবম স্থানে রয়েছে নির্বাচন কমিশন।
তালিকায় নিচের দিকে ধর্মীয় নেতারা
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, শ্রদ্ধা ও ভরসার ওপর বিশ্বাস গড়ে ওঠে। এমনি এমনি কোনও প্রতিষ্ঠানের ওপর বিশ্বাস জন্মায় না। সেই বিশ্বাস অর্জন রতে হয়। প্রতিরক্ষা বাহিনী, আরবিআই ও প্রধানমন্ত্রীর দফতর হল দেশের স্তম্ভ। সাধারণ মানুষ অকারণে ভরসা করছে না। এই প্রতিষ্ঠানগুলো ভরসা অর্জন করেছে। কাজের মাধ্যমে বিশ্বস্তত অর্জন করতে পেরেছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, রাজনৈতির নেতা, রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতা, ধর্মীয় নেতারা বিশেষ কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা মানুষের কাছ থেকে অর্জন করতে পারেনি। এই সমীক্ষা মূলত শহরের বাসিন্দাদের ওপর করা হয়েছে। ২,৯৫০ জন প্রাপ্ত বয়স্কদের ওপর এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে।
মানুষের ভরসা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার কারণ
প্রশ্ন উঠতে দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশ্বাস যোগ্যতা কেন এত কম। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে না পারার কারণে মানুষের মন থেকে আস্থা হারিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে নির্দিষ্ট স্বার্থসিদ্ধির জন্য এই প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমাগত মিথ্যা কথা বলে গিয়েছে। তবে কারণ যাই হোক না, ইপসোসের তরফে জানানো হয়েছে, যে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা একেবারে তলানিতে ঠেকেছে, তাদের আত্মবিশ্লেষণের প্রয়োজন রয়েছে। কীভাবে তাঁরা সাধারণ মানুষের মনে আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারেন, সেই দিকে নজর দিতে হবে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে। তাঁরা কী চান জানতে হবে। সাধারণ মানুষকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধ করতে হবে বলে তিনি বলেন। দেশের চারটি মেট্রো শহর ছাড়াও বেশ কয়েকটি অভিজাত শহরে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। কতগুলো প্রশ্নের মাধ্যমে এই সমীক্ষা করা হয়।
নীতীশের মন্ত্রিসভার সম্প্রচারণ, তেজপ্রতাপ সহ ৫ বিধায়কের শপথ রাজভবনে