তেল থেকে গ্যাসের দামবৃদ্ধিতে কতটা বিপাকে বিজেপি, তথ্য দিল এবিপি আনন্দ ও সি-ভোটার সমীক্ষা
পুজোর আগে থেকেই তেলের দামে লাগাতার বৃদ্ধি হয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই চরমে যে একটা সময় মনে হয়েছিল দুর্গাপুজো শেষ হতে না হতেই হয়তো সেঞ্চুরি করে ফেলতে তেলের দাম।
পুজোর আগে থেকেই তেলের দামে লাগাতার বৃদ্ধি হয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই চরমে যে একটা সময় মনে হয়েছিল দুর্গাপুজো শেষ হতে না হতেই হয়তো সেঞ্চুরি করে ফেলতে তেলের দাম। কিন্তু, ৯০-এর ঘর ছুঁয়ে গত কয়েক দিনে কিছুটা করে কমছে তেলের দাম। কিন্তু, এই দাম কমায় আম-জনতা ভরসা রাখতে পারছে না। গোদের উপরে বিষফোঁড়া হয়েছে গ্য়াসের দাম। বৃহস্পতিবার ফের গ্য়াসের দামে বৃদ্ধি ঘটিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। উৎসবের মরসুমেই গ্যাসে এক দফা দাম বৃদ্ধি হয়েছে। এদিন-এর এই দাম বৃদ্ধি ঘটল দেড় সপ্তাহের মধ্যে।
এবিপি আনন্দ ও সি-ভোটার পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, টাকার দামে পতন-এ বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাবমূর্তি-র হাল নিয়ে একটা সমীক্ষা চালায়। তাতে উঠে এসেছে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই সমীক্ষায় পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং টাকার দামে পতন নিয়ে তিনটি প্রশ্ন রাখা হয়েছিল আম-জনতার সামনে।
এই জনমত সমীক্ষায় একটি প্রশ্ন ছিল যে '২০১৯- এ পেট্রো পণ্যের দাম না কমলে কী করবেন সাধারণ মানুষ?' এর উত্তরে যা বেরিয়ে এসেছে তাতে নাকি এনডিএ-এর বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন ৩১ শতাংশ মানুষ। এনডিএ-কেই ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন ২০ শতাংশ মানুষ। অন্য়ান্য ইস্যু দেখে ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ২৭ শতাংশ মানুষ। বলতে পারব না বলে উত্তর দিয়েছে ২২ শতাংশ।
পেট্রোপণ্যের দাম কমাতে সব থেকে কার্যকরি পদক্ষেপ কী হতে পারে?- এমন প্রশ্নও রাখা হয়েছিল এবিপি আনন্দ ও সি-ভোটার সমীক্ষায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে পেট্রোপণ্যে জিএসটি লাগু করার কথা বলেছেন ৩২ শতাংশ মানুষ। শুল্ক ছাঁটাই-এর পক্ষে সওয়াল করছেন ১৩ শতাংশ মানুষ। ভর্তুকি চালু-র কথা বলেছেন ৫ শতাংশ। বিকল্প উৎস-এর কথা বলেছেন ৫ শতাংশ। প্রাইভেট গাড়িতে রাশ টানার পক্ষে সওয়াল করেছেন ৭ শতাংশ। গণপরিবহণের উন্নতি-তে সওয়াল করেছেন ৬ শতাংশ এবং গণপরিবহণের উন্নতি-র কথা বলেছেন ৮ শতাংশ মানুষ। বলতে পারব না বলে মত দিয়েছেন ২৮ শতাংশ মানুষ।
এবিপি আনন্দ ও সি-ভোটার সমীক্ষার এই স্তরে সবচেয়ে বড় প্রশ্নটি ছিল 'পেট্রোপণ্যের মূল্যূবৃদ্ধি, টাকার পতন কি ২০১৯-এ বিজেপি-র কাঁটা? সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে বিজেপি-র বিপুল ক্ষতি হবে এমন মত দিয়েছেন ৪৭ শতাংশ মানুষ। বিজেপি-র কিছুটা ক্ষতি হবে জানিয়েছেন ২৪ শতাংশ, বিজেপি-র কোনও ক্ষতি না হওয়ার কথা বলেছেন ২৫ শতাংশ মানুষ। বলতে পারব না বলে মত দিয়েছেন ৮ শতাংশ মানুষ।
[আরও পড়ুন: দীপাবলির আগে পেট্রোলের দাম কমতির দিকে, ফিরছে স্বস্তি]
বৃহস্পতিবার রান্নার গ্যাসের দাম-বৃদ্ধি নিয়ে মোদী সরকারকে একপ্রস্থ আক্রমণ শানিয়েছেন রাহুল গান্ধী। প্রবল সামালোচনা করে টুইট করেছে ডিএমকে-ও। বাকি মোদী বিরোধী দলগুলিও নিশানা করেছে মোদী সরকারকে।
[আরও পড়ুন: আমজনতার মাথায় ঘা! দীপাবলির আগে অনেকটা দাম বাড়ল রান্নার গ্যাসের]
[আরও পড়ুন:বিজেপিকে আটকাতে বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে জোটের বার্তা কংগ্রেস সাংসদের]