কংগ্রেসে জারি তাবেদারি প্রথা? রাহুলের হয়ে ক্ষুব্ধ কপিলকে বোঝালেন সুরজেওয়ালা
বিজেপির সঙ্গে দলীয় নেতাদের একাংশের যোগ রয়েছে। রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যের পর উত্তপ্ত হয়ে উঠল কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা গুলাম নবি আজাদ, কপিল সিবাল সহ অনেকেই এর প্রতিবাদ করেন। আজাদ বলেন, বিজেপির সঙ্গে আঁতাত প্রমাণ করতে পারলে তিনি পদত্যাগ করবেন৷ এই বিষয়ে ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ বিভেদ। আর সেই বিভাজনের আগুনে জল ঢালতে ময়দানে নামলেন রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা।
রাহুলের বিরোধিতা করেন কপিল সিব্বল
পাশাপাশি বিজেপিকে মদত দেওয়াপ প্রসঙ্গে রাহুলের বিরোধিতা করেন কপিল সিব্বল। কপিল বলেন, 'বিগত ৩০ বছরে আমি একবারও বিজেপির পক্ষে মুখ খুলিনি। রাজস্থানে কংগ্রেসের সরকার বাঁচানোর পাশাপাশি মণিপুরেও দলের হয়ে লড়ছি। সেখানে বিজেপি সরকারের পতনের জন্যে চেষ্টা চালাচ্ছি। আর আপনি বলছেন আমরা বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছি?'
ময়দানে নামলেন রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা
আর কপিল সিব্বল, গুলাম নবিদের শান্ত করতে এবার ময়দানে নামলেন রাহুলের বিশ্বস্ত নেতা তথা কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। এদিন কপিলের ক্ষোভলিপ্ত টুইটের জবাব সুরজেওয়ালা টুইট করেন। কপিল সিব্বলকে শান্ত করতে চেয়ে সুরজেওয়ালা বলেন, রাহুল গান্ধীর কথার ভুল ব্যখ্যা হয়েছে।
সুরজেওয়ালার টুইটে মনবদল কপিলের
এদিন সুরজেওয়ালা টুইট করে লেখেন, 'রাহুল গান্ধী এরম কোনও কথাই বলেননি বা এরম কোনও কথা বোঝাতেও চাননি। দয়া করে মিডিয়ার ভুল খবরে বিশ্বাস করবেন না। হ্যাঁ আমাদের সকলকেই একত্রিত হয়ে মোদী সরকারের বিরোধিতা করতে হবে। আমাদের নিজেদের মধ্যে লড়াই করা উচিত না তাতে কংগ্রেসের ক্ষতি।' এদিকে সুরজেওয়ালার এই টুইটের পরেই নিজের টুইটটি ডিলিট করে দেন কপিল সিব্বল। কপিল বলেন, রাহুল গান্ধী নাকি নিজে তাঁকে এই বিষয়ে বোঝান।
কংগ্রেসে অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের দাবি
প্রসঙ্গত, দলের অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের দাবি জানায় শীর্ষ নেতৃত্ব। ২৩ জন শীর্ষনেতা এই মর্মে সনিয়া গান্ধীকে চিঠিও লিখেছিলেন। পাশাপাশি তাঁরা ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের জন্যও আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁদের চিঠির উত্তরে সনিয়া গান্ধী জানিয়েছিলেন, বৈঠক হবে। সকলে মিলে নতুন সভাপতির খোঁজ করা হবে।
পাল্টা আক্রমণে রাহুল
এদিন এই চিঠি নিয়েই মুখ খোলেন রাহুল গান্ধী। যদিও তিনি নিজে সভাপতি পদে নতুন মুখের দাবি করে এসেছেন, তাও এই চিঠি দেওয়ার সময় নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। রাহুলের দাবি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশে যেভাবে দল সংকটে পড়েছিল, এবং এই একই সময় সনিয়ার যেভাবে শারীরিক অবস্থার অবনতী হয়; এরকম পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এই চিঠি তখন দেওয়া উচিত হয়নি। শুধু তাই নয়, যএ কংগ্রেস নেতারা এই চিঠি লিখেছেন, তাঁরা বিজেপিকে মদত করছেন বলেও অভিযোগ করেন রাহুল।
বিভাজন তৈরি হচ্ছে কংগ্রেসে
যে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে তাতে স্বাক্ষর রয়েছে কপিল সিব্বল, শশী থারুর, গুলাম নবি আজাদ, পৃথ্বীরাজ চৌহান, বিবেক তানখা এবং আনন্দ শর্মার মতো প্রবীণ নেতাদের। দাবি করা হয়েছে, রাহুল গান্ধী যদি দলের সভাপতি পদ গ্রহণে ইচ্ছুক না হন তবে দলের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে উপযুক্ত নেতা বেছে নেওয়া হোক ৷ সংগঠনের শীর্ষনেতৃত্ব থেকে তৃণমূলস্তর,সব জায়গাতেই আমূল সংস্কারেরও দাবি তুলেছেন কংগ্রেসের ওই পোড়খাওয়া প্রবীণ নেতারাই৷
গভীর কোমায় আচ্ছন্ন কিম জং উন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতা এবার বোনের হাতে!