'বালাসাহেবের অভাববোধ করছি', উদ্ধবের শপথ গ্রহণের আগে মন্তব্য শরদ কন্যার সুপ্রিয়ার
'বালাসাহেবের অভাববোধ করছি', উদ্ধবের শপথ গ্রহণের আগে মন্তব্য শরদ কন্যার সুপ্রিয়ার
দীর্ঘ টালবাহানা ও নাটকের পর শেষ পর্যন্ত মাহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করতে চলেছে শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস জোট। আজ সন্ধ্যায় শিবাজিপার্কে ঠাকরে পরিবারের প্রথম সদস্য হিসাবে মারাঠা রাজনীতির মসনদে বসতে চলেছেন উদ্ধব। তার আগে উদ্ধবের বাবা তথা শিবসেনা প্রতিষ্ঠাতার অভাববোধ করছেন বলে মন্তব্য করলেন শরদ কন্যা সুপ্রিয়া সুলে।
'বালাসাহেব ও মীনাতাইয়ের অভাববোধ করছি'
আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুপ্রিয়া বলেন, "বালাসাহেব ঠাকরে ও মীনাতাই ঠাকরের অভাববোধ করছি আজ। তাঁরা আমাকে মেয়ের থেকেও বেশি স্নেহ করতেন।" প্রসঙ্গত, পাওয়ার-কন্যা সুপ্রিয়া সুলে যখন রাজ্যসভায় মনোনীত হন, তখন পাওয়ারের সঙ্গে বন্ধুত্বকে সম্মান জানিয়ে, ঠাকরে সেনা-বিজেপি জোটের কোনও প্রার্থীকে দাঁড় করাননি সুপ্রিয়ার বিরুদ্ধে। সুপ্রিয়া আরও বলেন, "আমার জীবনে তাঁদের অবদান আমি কখনও ভুলতে পারব না। আজ তাঁরা বেঁচে থাকলে খুব ভালো হত।"
শরদ-বালাসাহেব বন্ধুত্ব
এর আগে সেনা, এনসিপি, কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠকে জোট নির্মাণের অন্যতম কান্ডারী পাওয়ার মুখেও শোনা যায় শিবসেনা প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের বন্দনা। এনসিপি প্রধান বলেন, "এমনও হয়েছে যে ব়্যালিতে আমি ও ঠাকরে সাহেব পরস্পরকে খুব আক্রমণ করেছি। কিন্তু, সেই ওই দিনই নৈশ ভোজে দেখা হয়েছে আমাদের।"
এনসিপি-র সঙ্গে শিবসেনার বন্ধুত্ব
শরদ পাওয়ার ও বাল ঠাকরে রাজনীতির প্রকাশ্য ময়দানে একে অপরকে বাক্যবাণে বিদ্ধ করতেন। কিন্তু, তা তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কে তা প্রভাব ফেলেনি। এমন কী বন্ধুত্বের গণ্ডি পেরিয়ে এই সম্পর্ক অনেকবার রাজনীতিতেও দেখা গিয়েছে। এর আগেও এনসিপি-র সঙ্গে শিবসেনার বন্ধুত্বের নিদর্শন দেখেছে মারাঠি রাজনীতি। তখন কংগ্রেসে থাকা পাওয়ার প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। সেই সময় এনসিপি প্রধানকেই সমর্থন করেছিলেন শিবসেনা সুপ্রিমো বাল ঠাকরে।