সুপ্রিমকোর্টে নির্ভয়াকাণ্ডের দুই দোষীর কিউরেটিভ আবেদনের শুনানি আজ
সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ আজ ২০১২ সালের দিল্লি গণধর্ষণ ও খুনের মামলার দুই সাজাপ্রাপ্ত আসামির কিউরেটিভ পিটিশন শুনবে। পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ দোষী সাব্যস্ত মুকেশ ও বিনয় কুমারের আবেদনকে মঞ্জুর করেছে তাঁদের চেম্বারে। বর্তমানে চার সাজাপ্রাপ্ত আসামি দিল্লির তিহার জেলে বন্দী রয়েছে।
২০১২ সালের দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত বিনয় কুমার ৯ জানুয়ারি দিল্লি হাইকোর্টের ফাঁসির পরোয়ানার বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টে কিউরেটিভ পিটিশন দাখিল করে। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই কিউরেটিভ পিটিশন দাখিল করে মুকেশ। পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ দোষী সাব্যস্ত মুকেশ ও বিনয় কুমারের আবেদনকে মঞ্জুর করে জানায় যে ১৪ জানুয়ারি এই আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি হবে।
২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে দিল্লি গণধর্ষণে মৃত নির্যাতিতার মা-বাবার আবেদনের ভিত্তিতে রায় ঘোষণা করে দিল্লির পালিয়ালা হাউজ কোর্টের বিচারপতি সতীশ কুমার জানিয়ে দেন ২২ জানুয়ারি নির্ভয়াকাণ্ডে দোষীদের ফাঁসি হবে। এই রায়ের পর দোষীদের আইনজীবী বলেন, 'আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন জানাব।'
এদিকে জানা গিয়েছে, তিহারের জেল নম্বর ৩ এ সম্পন্ন করা হবে ৪ দোষীর ফাঁসির সাজা। সেখানেই ৪ জন দোষীকে একসঙ্গে ফাঁসিকে সাজা দেওয়া হবে , বলে জানিয়েছে তিহারের সূত্র। জানা গিয়েছে, জেলে ফাঁসির ফ্রেম ও দড়ির সঙ্গে আনা হয়েছে জেসিবি। যার দ্বারা মনে করা হচ্ছে ফাঁসির প্রক্রিয়া খুব শিগগিরিই সম্পন্ন হবে। অন্যদিকে, তিহারের সুড়ঙ্গ নিয়েও কাজ চলছে। প্রসঙ্গত, এই সুড়ঙ্গ দিয়েই মৃতদেহ ফাঁসির পর তোলা হয়।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাজধানী দিল্লির সড়কে একটি বাসের মধ্যে নারকীয় গণধর্ষণ চালানো হয় এক তরুণীর উপর। বাসে বছর তেইশের নির্ভয়াকে গণধর্ষণ, ভয়াবহ মারধর এবং যৌন অত্যাচার করে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দিয়ে গিয়েছিল ছ'জন। এরপর বহুদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেষে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ার পরে অবশেষে সেই বছরই ২৮শে ডিসেম্বর মৃত্যু হয় নির্ভয়ার। আর গোটা দেশ তাঁকে 'নির্ভয়া ' নামের পরিচিতি দেয়। সেই নির্ভয়াকাণ্ডের ৭ বছর কেটে গিয়েছে। অভিযুক্ত ওই ছয়জন কে যৌন নিপীড়ন ও হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন নাবালক, এবং অন্য একজন তিহার জেলেই আত্মহত্যা করেন।