অবমাননার মামলা! লোকসভার সদস্যপদ কি হারাতে পারেন ওয়ানাডের রাহুল গান্ধী
সুপ্রিম কোর্ট এসপ্তাহের অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ যে মামলার রায় দেবে, সেটি হল রাহুল গান্ধীর অবমাননার মামলা।
সুপ্রিম কোর্ট এসপ্তাহের অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ যে মামলার রায় দেবে, সেটি হল রাহুল গান্ধীর অবমাননার মামলা। রাহুল গান্ধী যে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন তা গ্রহণ করা বা না করার ক্ষমতা রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করবে। বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষী লেখি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে চৌকিদার চোর হ্যায় নিয়ে ফৌজদারি অবমাননার মামলা দায়ের করেছিলেন।
আইন বলছে, দোষী সাব্যস্ত হলে, সেই ব্যক্তি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না। অথবা যদি তিনি নির্বাচিত প্রতিনিধি হল তাহলে তার নির্বাচনই বাতিল হয়ে যায়। যদি দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে ওয়ানাড থেকে রাহুল গান্ধীর নির্বাচনই বাতিল হয়ে যাবে।
কখন প্রার্থীকে বাধা দেওয়া যায়
১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(৩) ধারায় যদি কোনও ব্যক্তি কোনও অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন এবং তাঁকে ২ বছর বা তার বেশি কারাদণ্ড দেওয়া হয়, তাহলে তাঁকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়। যদি কোনও ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়, আর তিনি যদি জামিন কিংবা প্যারোলে থাকেন, তাহলেও তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না।
অবমাননা আইন
আদালত
অবমাননার
সেকশন
১২তে
অভিযুক্তের
শাস্তির
কথা
বলা
হয়েছে।
তাতে
রয়েছে,
৬
মাসের
হাজতবাস
কিংবা
ছয়
মাসের
হাজতবার
এবং
২০০০
টাকার
জরিমানা,
দুই-ই।
এদিক
থেকে
দেখতে
গেলে
রাহুল
গান্ধীকে
নির্বাচনী
প্রক্রিয়া
থেকে
আলাদা
করা
যাবে
না।
আইনে
বলা
হয়েছে,
ছয়মাস
কিংবা
১৮০
দিনের
হাজতবাস
এবং
নির্বাচন
কমিশনের
আইনে
বলা
হয়েছে,
২
বছর
কিংবা
তার
বেশি
সময়ের
হাজতবাস
হলে
নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতার
ক্ষেত্রে
বাধা
দেওয়া
যাবে।
রাহুল গান্ধীর মামলা
নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে চৌকিদার চোর হ্যায় মন্তব্যের জেরে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে অবমাননার মামলা দায়ের করেছিলেন বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষী লেখি। রাহুল মন্তব্য করেছিলেন ১০ এপ্রিল। রাফালে নিয়ে ১৪ ডিসেম্বরের রায়ের বিরুদ্ধে আদালতের রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। সেইদিন সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের প্রাথমিক আপত্তি বাতিল করে দিয়েছিল।
আদালতে রাহুলের সাফাই
রাহুল গান্ঘী বিষয়টি নিয়ে আদালতে সাফাইও দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন রাজনৈতিক উত্তাপে তিনি মন্তব্যটি করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের কার্যপ্রণালীতে আঘাত করার কোনও অভিপ্রায় তাঁর ছিল না। নিজের বক্তব্যে রাহুল বলেছিলেন, ১০ এপ্রিলের মন্তব্য রাজনৈতিক ভিত্তিতে করা হয়েছে। কেননা ১৪ ডিসেম্বরের রায় নিয়ে বিজেপির তরফ থেকে ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছিল। রাফালে নিয়ে সরকারকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে বলে প্রচার করা হচ্ছিল বিজেপির তরফে, বলেছিলেন রাহুল।