সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা আবেদনকারীদের, অগ্নিপথ প্রকল্প চ্যালেঞ্জ করে আবেদন দিল্লি হাইকোর্টে স্থানান্তরের নির্দেশ
সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা আবেদনকারীদের, অগ্নিপথ প্রকল্প চ্যালেঞ্জ করে আবেদন দিল্লি হাইকোর্টে স্থানান্তরের নির্দেশ
সুপ্রিম কোর্ট অগ্নিপথ প্রকল্পের সামরিক নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে সমস্ত পিটিশন দিল্লি হাইকোর্টে স্থানান্তরিত করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অগ্নিপথ প্রকল্পের স্থগিতাদেশ চেয়ে তিনটি আবেদনের শুনানির হয় সুপ্রিম কোর্টে। আবেদনে অগ্নিপথ প্রকল্পের চার বছরের মেয়াদ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। শুনানির শুরুতেই সুপ্রিম কোর্ট অগ্নিপথ প্রকল্প সংক্রান্ত সমস্ত পিটিশন দিল্লি হাইকোর্টে স্থানান্তরিত করে।
মঙ্গলবার শুনানির শুরুতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে বলেন, দিল্লি, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, পাটনা হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতা করে সশস্ত্র বাহিনীর ট্রাইব্যুনালে কাছে আবেদন করা হয়েছে। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, সূর্যকান্ত এবং এএস বোপান্নার একটি বেঞ্চ পিটিশনগুলো দিল্লি হাইকোর্টে স্থানান্তরিত করে। আবেদনকারীরা শীর্ষ আদলতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে বলেন, অগ্নিপথ প্রকল্পের শুনানির শুধু সুপ্রিম কোর্টে শোনা প্রয়োজন। আইনজীবী কুসুমলতা দাস বলেন, 'এটি একটি সর্বভারতীয় সমস্যা। আবেদনগুলো দিল্লি হাইকোর্টে স্থানান্তরিত হলে, আবেদনকারীরা অন্যান্য হাইকোর্টে স্থানান্তরিত করার জন্য আবেদন করবে। সেক্ষেত্রে সব থেকে ভালো সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হওয়া।' প্রবীণ আইনজীবী ভিকে শুক্লা বলেন, 'একাধিক আইজীবী ভিন্ন ভিন্ন নির্দেশ দিচ্ছে। যা নতুন করে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। যেহেতু এটা সর্বভারতীয় সমস্যা, তাই সুপ্রিম কোর্টে এর শুনানি হওয়া প্রয়োজন।'
সংসদে
অগ্নিপথ
প্রকল্প
নিয়ে
বিতর্ক
বাদল
অধিবেশন
শুরুর
আগেই
১১
জুলাই
সংসদে
বিরোধী
সাংসদদের
সঙ্গে
বৈঠক
হয়।
সেখানে
অগ্নিপথ
প্রকল্পের
বিরোধিতা
করেন
বিরোধীরা।
প্রতিরক্ষা
মন্ত্রকের
কাছে
বিরোধীরা
মূল
অগ্নিপথ
প্রকল্পটি
প্রত্যাহারের
দাবি
করেন।
প্রায়
দেড়
ঘণ্টা
ধরে
প্রতিরক্ষামন্ত্রী
রাজনাথ
সিংয়ের
সঙ্গে
বিরোধী
সাংসদরা
বৈঠক
করেন।
বিরোধীরা
দাবি
করেন,
অগ্নিপথ
প্রকল্প
নিয়ে
বিশদ
পর্যবেক্ষণের
জন্য
সংসদীয়
প্যানেল
গঠন
কর
হোক।
তবে
বিরোধী
সাংসদদের
সঙ্গে
রাজনাথ
সিংয়ের
বৈঠক
ফলপ্রসূ
হয়নি।
অন্যদিকে
বৈঠকের
কয়েকদিন
আগেই
কর্ণাটকের
প্রবীণ
বিজেপি
নেতা
পাটিল
ইয়াতনাল
বলেন,
যাঁরা
কেন্দ্রের
নতুন
সামরিক
পরিকল্পনা
অগ্নিপথের
বিরোধিতা
করছেন,
তাঁরা
দেশদ্রোহী।
অগ্নিপথ
প্রকল্প
ও
বিক্ষোভ
১৪
জুন
অগ্নিপথ
প্রকল্পের
ঘোষণা
করা
হয়।
কেন্দ্র
সরকারের
অগ্নিপথ
প্রকল্পের
ঘোষণার
পরেই
দেশ
জুড়ে
বিক্ষোভ
দেখা
দেয়।
অগ্নিপথ
প্রকল্পের
মাধ্যমে
ভারতীয়
সেনা,
নৌ
ও
বিমান
বাহিনীতে
ব্যাপক
নিয়োগের
প্রতিশ্রুতি
দেওয়া
হয়।
১৭
থেকে
২১
বছরের
যুবক-যুবতীরা
আবেদন
করতে
পারবেন।
অগ্নিপথ
প্রকল্পের
মাধ্যমে
নিয়োগের
মেয়াদ
চার
বছর।
যদিও
প্রকল্পের
ঘোষণর
দুদিন
পরে
নিয়োগের
সর্বোচ্চসীমা
বাড়িয়ে
২৩
বছর
করা
হয়।
সেনাবাহিনীতে
চাকরি
প্রত্যাশীরা
নিয়োগের
মেয়াদকাল
চার
বছরের
বিরোধিতা
করে
বিক্ষোভ
করেন।
দেশের
বিভিন্ন
অংশে
বিক্ষোভ
দেখা
দেয়।
বিক্ষোভ
ক্রমেই
হিংসার
আকারণ
ধারণ
করে।
মমতাকে নিয়ে নতুন গানে 'নবজাগরণ’! একুশে জুলাইয়ের আগে বার্তা বাংলার জনগণকে