সরতে পারে সিএএ বিরোধী অবস্থান বিক্ষোভ! আজ সুপ্রিম কোর্টে শাহিনবাগ নিয়ে শুনানি
প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে শাহিনবাগে সিএএ বিরোধী অবস্থান। সেই অবস্থান বিক্ষোভ সরানোর বিষয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হবে। এর আগে সুপ্রিমকোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছিল যে এভাবে রাস্তা অবরোধ করে মাসের পর মাস কোনও বিক্ষোভ প্রদর্শন চলতে পারে না। আজকের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে কী হয় এখন সেটাই দেখার।
শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের দাবি শুনতে নারাজ বিজেপি
এর আগে শাহিনবাগে অবস্থানরত সিএএ বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীকে তাঁদের দাবি শোনার জন্যে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে এই মর্মে চিঠিও লিখেছিলেন। তবে তাতে কর্নপাত করেননি নরেন্দ্র মোদী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েও ব্যর্থ হন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের সেই ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
শাহিনবাগ নিয়ে দিল্লি নির্বাচনের পর শুনানি হবে বলে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট
এর আগে দিল্লি নির্বাচন সম্পন্ন হলে শাহিনবাগ নিয়ে শুনানি হবে বলে জানিয়ে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে যাতে কোনও রকম প্রভাব না পড়ে, সেজন্য শাহিনবাগ থেকে প্রতিবাদীদের সরানোর আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দিল্লির প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ নন্দ কিশোর।
২০০ জনেরও বেশি মহিলা দুই মাসের বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছেন
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে দিল্লির শাহিনবাগে প্রায় ২০০ জনেরও বেশি মহিলা দুই মাসের বেশি সময় ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। দিল্লির প্রবল ঠান্ডা উপেক্ষা করেও এখানেই অবস্থান বিক্ষোভে করে চলেন তাঁরা। সিএএ বিরোধী আন্দোলনে গোটা দেশের মুখ হয়ে দাঁড়িয়েছে শাহীনবাগ।
সিএএ, এনআরসি ও এনপিআর মানি না!
শাহিনবাগের অবস্থানকারীদের মঞ্চের দিকে যেতেই চোখে পড়ে ৪০ ফিট লম্বা ভারতের একটি মানচিত্র। তার উপরে একটি স্লোগান লেখা, 'আমরা ভারতবাসীরা সিএএ, এনআরসি ও এনপিআর মানি না!' শুধু তাই নয়, প্রতিদিন বহু হকারদের সেখানে ভারতীয় পতাকা বিক্রি করতে দেখা যায়। এর আগে শাহীনবাগে গিয়েছেন অভিনেতা সুশান্ত সিং, ভীম আর্মি প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদরা। তারা সকলেই সেখানে গিয়ে কেন্দ্রের সিএএ-র বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছেন।
দিল্লি নির্বাচনের প্রচারে প্রভাব ফেলে শাহিনবাগ
দিল্লি নির্বাচনের প্রচার জুড়ে শাহিনবাগ নিয়ে জোরালো ঝড় বয়ে যায় রাজধানীতে। বিজেপি নেতাদের একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য উড়ে আসে শাহিনবাগ নিয়ে। তবে সেই বিতর্ক তৈরি করেও ইভিএম-এ বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি বিজেপি। উন্নয়নের অ্যাজেন্ডাকে হাতিয়ার করে তৃতীয়বারের মতো দিল্লি দখল করে কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। তবে এরপরও শাহিনবাগ নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শেষ হবে কি? প্রশ্ন এখন সেটাই।