শবরীমালা হোক বা মসজিদ, সব ধর্মীয় স্থানের জন্য অভিন্ন নীতি বিবেচনা করবে শীর্ষ আদালত
বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোরট শবরীমালা মামলার রায়দানের সময় জানায়, প্রতিটি ধর্মস্থানের জন্য একটি সর্বজনীন নীতি থাকা উচিত।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোরট শবরীমালা মামলার রায়দানের সময় জানায়, প্রতিটি ধর্মস্থানের জন্য একটি সর্বজনীন নীতি থাকা উচিত। আজ শবরীমালাতে মহিলাতে ঢুকতে দেওয়ার বিষয়ে রিভইউপিটিশনের প্রেক্ষিতে রায়দানে জানানো হয় মামলাটি সাত বিচারপতির বেঞ্চের কাছে পাঠানো হবে। মামলার বৃহত্তর বেঞ্চ গঠিত হবে পরবর্তী মুখ্য বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বে।
সুপ্রিম রায়ের বিরুদ্ধে ৬৫টি রিভিউ পিটিশন
গত বছর ২৮ সেপ্টেম্বর শবরীমালা মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলাদের প্রবেশাধিকার দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায়ের বিরুদ্ধে অন্তত ৬৫টি রিভিউ পিটিশন জমা পড়ে আদালতে৷ সেই রিভিউ পিটিশনের ভিত্তিতে চলা শুনানির রায়দানের সময়ই প্রধান বিচারপতি বলেন, "শুধু হিন্দু মন্দির না। মসজিদ বা পার্সিদের মন্দিরেও মহিলাদের প্রবেশাধিকার নেই। সেই ক্ষেত্রে পুরো বিষয়টাকেই খতিয়ে দেখবে নতুন বেঞ্চ।"
মহিলাদের সমজিদে ঢুকতে দেওয়া নিয়ে মামলা
সম্প্রতী মসজিদে ঢুকতে দেওয়া নিয়ে একটি পিটিশন জমা পড়েছে সুপ্রিমকোর্টে। সেই মামলাটি পরবর্তী প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের সামনে শুনানি হচ্ছে। তে মামলাটি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। পুনের এক দম্পতি এই মামলটি করেছিল। প্রসঙ্গত, তারা জানায় সুপ্রিমকোর্টের শবরীমালা সংক্রান্ত রায়ের পরেই তারা এই বিষয়ে মামলা করার সাহস পান। মামলাকারীদের দাবি, মহিলাদের মসজিদে ঢুকতে না দেওয়ার বিষয়টা যুক্তিহীন ও এটি মৌলিক অধিকার ও লিঙ্গ সমতার পরিপন্থি। এই বিষয়ে আদালত ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্র ওয়াকফ বোর্ড ও অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড থেকে জবাব চেয়ে পাঠিয়েছে।
মহিলাদের অঙ্গহানির বিষয়টিও দেখবে শীর্ষ আদালত
এছাড়াও ধর্মীয় কারণে মহিলাদের যৌনাঙ্গের অঙ্গহানির বিষয়টিও সুপ্রিমকোর্ট দেখবে বলে জানিয়েছে। এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন জায়গায় এই প্রথা চলে আসছে। মহিলাদের যৌন ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেই নাকি এটা করা হয়। ভারতে এই প্রথার দুটি ধরন দেখা যায়। মূলত বোহরা জনজাতির মধ্যে এই প্রথা বেশ প্রচলিত।
আপাতত সব বয়সের মহিলার কাছেই উন্মুক্ত শবরীমালা! স্বাগত জানালেন আন্দোলনকারীরা
'আমরা সুপ্রিমকোর্টের উপর গর্বিত', শবরীমালা রায়ের পর মন্তব্য মামলাকারী রাহুল ঈশ্বরের