ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি, আশঙ্কায় লখিমপুর খেরি কাণ্ডে আশিস মিশ্রর জামিন খারিজের আর্জি, স্থগিতাদেশ শীর্ষ আদালতের
ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি, আশঙ্কায় লখিমপুর খেরি কাণ্ডে আশিস মিশ্রর জামিন খারিজের আর্জি, স্থগিতাদেশ শীর্ষ আদালতের
লখিমপুর খেরি কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত আশিস মিশ্রের জামিন খারিজের আর্জিতে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্টে। এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে শীর্ষ আদালতে আশিস মিশ্রের জামিন খারিজের আবেদন জানানো হয়েছিল। তাতে এলাহাবাদ হাইকোট্রে রায় বহাল রেখেই আশিস মিশ্রর জামিন খারিজ করেনি শীর্ষ আদালত। উল্টে তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন লখিমপুর খেরির মৃতদের পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা প্রাণ নাশের শঙ্কায় ভুগছেন। ভোটের ঠিক আগেই আবার জামিনে ছাড়া পেয়েছেন মন্ত্রী পুত্র এবং এই ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত আশিস মিশ্র। তারপরেই নাকি তাঁদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেই আশঙ্কায় তাঁরা হাজির আশিস মিশ্রের জামিন খারিজ করার আবেদন নিয়ে হাজির হয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের আবেদন খারিজ করে দিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ই বহাল রেখেছেন। অর্থাৎ আশিস মিশ্রের জামিন খারিজ হচ্ছে না বলেই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
প্রধানবিচারপতি এন ভি রমান্না এই নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন কীভাবে সব তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখে এই নির্দেশ দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট এই মুহূর্তে এই ঘটনার তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখার মতো সময় দিতে পারবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
শ্রীলঙ্কার থেকেও খারাপ অবস্থা! সুস্থ গণতন্ত্র রক্ষায় আলোচনায় বসার আবেদন মমতার
এদিকে বারবারই আশিস মিশ্র দাবি করেছেন তিনি ঘটনার দিন সেখানে ছিলেন না। ২০২১ সালে লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের আন্দোলনের মধ্যে বিজেপি মন্ত্রীর ছেলে গাড়িতে পিষে হত্যা করেন ৮ জনের। তার মধ্যে একজন সাংবাদিকও ছিেলন। সেই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। লখিমপুর খেরির কাণ্ডের পরেই ভোটের আগে উত্তর প্রদেশে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছিল বিজেপি। যোগীকে চাপমুক্ত করতেই তড়িঘড়ি কৃিষ আইন বাতিলের কথা ঘোষণা করে মোদী সরকার।
যদি উত্তর প্রদেশের বিধানসভা ভোটে লখিমপুর খেরির ঘটনা তেমন প্রভাব ফেলেনি। বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে বিজেপি। লখিমপুর খেরিতেও জিতেছে বিজেপি। কাজেই সেই ঘটনা যে কোনও প্রভাব ফেলেনি তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তারপরেই বিজেপি লখিমপুর খেরিতে হুঙ্কার দিতে শুরু করেছে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে একাধিকবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন লখিমপুর খেরির মৃতদের পরিবারের লোকেরা।