সুপ্রিমকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে আদিত্যনাথ! সিএএ বিরোধীদের হোর্ডিং লাগানোয় কড়া বার্তা আদালতের
এর আগে হোর্ডিং মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্টে বড় ধাক্কা খেয়েছিল যোগী আদিত্যনাথ। সিএএ বিরোধীদর নাম ও ছবি হোর্ডিং অবিলম্বে খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এবার এই বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল যোগী সরকারকে। এদিন সুপ্রিমকোর্ট এই বিষয়ে বলে যে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে বলে, 'এভাবে হোর্ডিং দেওয়ার স্বপক্ষে কোনও আইন নেই। সরকারে এভাবে করতে পারে না।'
হোরিডিংগুলিকে নামানোর নির্দেশ দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট
এর আগে এলাহাবাদ হাইকোর্ট এই হোরিডিংগুলিকে নামানোর নির্দেশ দিয়েছিল লখনউয়ের জেলা শাসক এবং পুলিস কমিশনারকে। যোগী সরকারকেও এই ধরনের কাজ না করার কড়া বার্তা দিয়েছে আদালত। এরপরই হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিল যোগীর সরকার। তবে সেখানে উল্টে মুখ পুড়ল তাঁর। আজ শীর্ষ আদালত সরকারকে বলে, 'দোষীদের সাজা তো দিতেই হবে। তবে তা আইন মেনে করতে হবে। সরকার আইনের উর্ধ্বে নয়। কোনও আইন মেনে আপনারা এই কাজ করেননি।'
লখনউ শহর ছেয়ে যায় সিএএ বিরোধীদের ছবি সমেত পোস্টারে
কয়েকদিন আগেই উত্তরপ্রদেশ সরকারের অভিনব এক পদক্ষেপে লখনউ শহর এখন ছেয়ে গিয়েছে এক পোস্টারে। তাতে সিএএ বিক্ষোভে জড়িতদের ছবি, নাম ও ঠিকানা লেখা। গত ডিসেম্বরে সিএএ বিরোধিতায় উত্তাল হয়ে ওঠে যোগী রাজ্য। সেই পরিস্থিতিকে শান্ত করতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপও নেওয়া হয়। বন্ধ রাখা হয় মোবাইলের ইন্টারনেট পরিষেবাও। এবার বিক্ষোভে জড়িতদের নাম এভাবে প্রকাশ্যে প্রচারে নতুন আশঙ্কা দানা বাঁধছে সেরাজ্যে।
এই হোর্ডিং লাগানোয় প্রশ্ন ওঠে
আদিত্যনাথ সরকারের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সেই কথা মেনেই এই হোর্ডিং লাগানো হয়েছে। জানা গিয়েছে যোগী আদিত্যনাথ স্বয়ং এই হোর্ডিংগুলি লাগানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।
মানুষের মনে ভয় সঞ্চার করতেই কি এই পদক্ষেপ?
তবে এভাবে জনসমক্ষে অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ্যে আসায় শঙ্কিত হয়ে পড়ে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরাও। তাদের আশঙ্কা, যদি জনরোষ গিয়ে তাদের বাড়ির উপর পড়ে সেই ক্ষেত্রে ফের অশান্ত হয়ে উঠবে উত্তরপ্রদেশ। প্রশ্ন উঠছে মানুষের মনে ভয় সঞ্চার করতেই কি এই পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার?
উত্তরপ্রদশে সিএএ হিংসা
উত্তরপ্রদশের বিভিন্ন শহরে যখন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে বাস,গাড়িতে আগুন লাগানো হচ্ছিল, তখনই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছিলেন যে যারা এমন কাজ করেছেন, তাদের থেকেই নেওয়া হবে এর ক্ষতিপূরণ। সেই মতো বেশ কয়েকটি পরিবারের কাছে ইতিমধ্যে নোটিশও পৌঁছে গিয়েছে যোগী সরকারের তরফ থেকে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, সরকার যখন নোটিশ পাঠিয়ে দিয়েছিল তখন কেন এভাবে জনসমক্ষে অভিযুক্তদের নাম-ধাম প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে অশান্তি বাড়ার আশঙ্কা অনেক প্রবল বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল বিশেষজ্ঞরা।
ক্ষতিপূরণ নিয়ে নির্দেশিকা জারি করে আদিত্যনাথের সরকার
যে দিন লখনউ থেকে কানপুর অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে সেদিনই যোগী আদিত্যনাথের তরফে সাফ বার্তা এসেছিল যে , যারা সরকারী সম্পত্তি নষ্ট করেছে, তাদের 'যোগ্য জবাব' দেওয়া হবে। তখনই তিনি জানিয়ে দেন, সরকারী সম্পত্তি নষ্ট যারা করেছে , তাদের থেকেই নেওয়া হবে এর ক্ষতিপূরণ। এজন্য সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সনাক্ত করা হয় বিক্ষোভকারীদের।