ঝাড়খণ্ডের বিচারপতি খুনের মামলায় সিবিআইকে তীব্র ভৎসনা সুপ্রিম কোর্টের, উঠল অসহযোগিতার অভিযোগ
ঝাড়খণ্ডের বিচারপতি খুনের মামলায় সিবিআইকে তীব্র ভৎসনা সুপ্রিম কোর্টের, উঠল অসহযোগিতার অভিযোগ
রাজ্য সরকারের সম্মতি মেলার পর দুদিন আগেই ঝাড়খণ্ডের বিচারপতি খুনে তদন্তের দায়ভার যায় সিবিআই-র কাঁধে। এদিকে ইতিমধ্যেই বিচারপতি উত্তম আনন্দের মৃত্যুর ঘটনায় জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও। এবার সেখানে তীব্র ভৎসনার মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বা সিবিআই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শীর্ষ আদালতে এই মামলার দেখভাল করছেন দেশের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা।
সিবিআইকে তীব্র ভৎসনা সুপ্রিম কোর্টের
সুপ্রিম
কোর্টের
দাবি
প্রায়শই
একাধিক
অপ্রীতিকর
ঘটনার
মুখোমুখি
হন
নিম্ন
আদালতের
বিচারকেরা।
এমনকী
অভিযোগ
পাওয়ার
পরেও
এই
বিষয়ে
বিশেষ
কোনও
পদক্ষেপ
নিতে
দেখা
যায়
না
সিবিআই,
আইবি-র
মতো
কেন্দ্রীয়
গোয়েন্দা
সংস্থাগুলিকে।
এমনকী
অভিযোগ
পেয়েও
হাত
পা
গুটিয়ে
বসে
থাকে
তারা।
এদিনই
এমনই
কড়া
ভাষায়
সিবিআই
সহ
প্রায়
প্রত্যেক
কেন্দ্রীয়
তদন্তকারী
সংস্থার
তীব্র
সমালোচনা
করল
শীর্ষ
আদালত।
প্রশ্ন উঠছে নিরপেক্ষতা নিয়েও
সুপ্রিম কোর্টের দাবি, যখনই কোনও গ্যাংস্টার, হেভিওয়েট ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে তখনই আর সাড়া পাওয়া যায় না সিবিআই, আইবি-র তরফে। যা দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর পক্ষে ক্ষতিকর বলেও মত প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধানবিচারপতি। এদিকে বিচারপতি এনভি রমনার সমালোচনার পরেই যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে দিল্লিতে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নিরপেক্ষতা নিয়েও।
তদন্তে নেমেছে ২০ সদস্যের সিবিআই টিম
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ঝাড়খণ্ডে বিচারপতি খুনের মামালার দায়িত্বভার নিয়েছে সিবিআই। যার নেতৃত্বে রয়েছেন এএসপি বিজয় শুক্লা। তার অধীনেই ইতিমধ্যেই একটি ২০ সদস্যের সিবিআই টিমও তৈরি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, তদন্তের স্বার্থে বুধবার ধানবাদ পৌঁছায় দলটি। বর্তমানে তারাই বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে তারা বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জায়গায় তদন্ত চালাচ্ছেন। গোটা তদন্ত প্রক্রিয়ায় পুরোদস্তুর সাহায্য করছে ধানবাদ সদর থানা।
আসল ঘটনার সূত্রপাত কোথায় ?
গত ২৮ জুলাই ধানবাদ ম্যাজিস্ট্রেট স্ট্রিটের কাছে বিচারপতি উত্তম আনন্দকে পিছন থেকে এসে ধাক্কা দেয় একটি অটো। প্রাথমিক ভাবে ঘটনাটিকে দুর্ঘটনা বলে মনে হলেও সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসতেই ছড়ায় চাঞ্চল্য। সিসিটিভি ফুটেজেই দেখা যায় আচমকা গতিপথ বদলে বিচারপতিকে ধাক্কা দেয় ঘাতক অটোটি। ইচ্ছাকৃত ভাবেই ঘটানো হয়েছে গোটা ঘটনা। দুর্ঘটনার পরেই বিচারপতিকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে প্রাথমিক তদন্তে এই ঘটনার পিছনে কোনও মাফিয়া চক্র রয়েছে বলে ধারনা পুলিশের। এদিকে শুরু থেকেই এই ঘটনাক আসল রহস্য জানতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছিল মৃত বিচারপতির পরিবার। অবশেষে তাতে সম্মতি দেয় রাজ্য সরকার।