করোনা পরীক্ষার নামে লুট চলছে, সুপ্রিম কোর্টে মামলা, RT-PCR-র রেট নিয়ে কেন্দ্রকে নোটিস
করোনা পরীক্ষার নামে লুট চলছে, সুপ্রিম কোর্টে মামলা, RT-PCR-র রেট নিয়ে কেন্দ্রকে নোটিস
করোনা ভাইরাস চিহ্নিত করণের জন্য অত্যন্ত জরুরি আরটি-পিসিআর পরীক্ষা। কিন্তু গোটা দেশে সেই পরীক্ষার নামে লুট চলছে। অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মামলাকারী। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রকে নোটিস পাঠাল শীর্ষ আদালত। অবিলবেম্বে গোটা দেশে আরটি-পিসিআর টেস্টের রেট বেঁধে দেয়ার কথা বলেছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই নোটিস পাঠিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের মামলা
আরটি-পিসিআর টেস্ট ছাড়া সঠিক ভাবে করোনা ভাইরাসের চিহ্নিত করণ করা যায় না। আর এই সুযোগ নিচ্ছে বিভিন্ন ল্যাবগুলি। গোটা দেশে বেলাগাম হয়ে গিয়েছে আরটি-পিসিআর টেস্ট। তারই প্রতিবাদে আদালতে মামলা করেছিলেন আইনজীবী অজয় আগরওয়াল। তিনি আদালতকে জানিয়েছেন আরটি-পিসিআর টেস্টের খরচ ৪০০ টাকার বেশি কোনও ভাবেই হওয়া উচিত নয়। নাগপুরের একটি সংস্থা মাত্র ২০০ টাকায় এই কিট সরবরাহ করতে রাজি রয়েছে বলে দাবি করেছেন মামলাকারী আইনজীবী।
কেন্দ্রকে নোটিস
আরটি-পিসিআর টেস্টের রেট বেঁধে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে নোটিস পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি এসএ ববদের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ কেন্দ্রকে এই নোটিস পাঠায়। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পরবর্তী শুনানির দিন বেসরকারি হাসপাতালগুলি বেলাগাম চিকিৎসরা খরচ নিয়ে আবেদন শুনবেন বিচারপতিরা।
দাম হাঁকছে বেসরকারি হাসপাতালগুলি
আবেদনকারী আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছেন ল্যাবগুলি কম খরচে আরটি-পিসিআর টেস্ট করে দিলেও বেসরকারি হাসপাতালগুলি বেশি দাম হাঁকছে। দিল্লিতে সবচেবে বেশি দামি এই পরীক্ষা। প্রায় ২৯০০ টাকা নেওয়া হয় করোনা ভাইরাসের আরটি-পিসিআর টেস্টের জন্য। সবচেয়ে কম খরচ হয় হরিয়ানায়। সেখানে ৯০০ টাকাতেই করোনা পরীক্ষা হয়ে যায়। পশ্চিমবঙ্গ এবং কর্নাটকে করোনা পরীক্ষার রেট বাড়িয়ে ১৫০০ থেকে ১৬০০ করা হয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছেন তিনি। যেখানে সরকারি হাসপাতালগুলি ৬০০ টাকা করে করোনা পরীক্ষার জনয নিচ্ছে সেখানে বেসরকারি হাসপাতালগুলি ১৬০০ টাকা করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মামলাকারী।
২০০ টাকারও কমে মেলে কিট
আদালতে মামলাকারী দাবি করেছেন করোনা পরীক্ষার জন্য আরটি-পিসিআর কিট ২০০ টাকারও কম দামে পাওয়া যায়। নাগপুরের একটি সংস্থা ১৯৯ টাকা দামের উপর ২৫ টাকা ডিসকাউন্ট দিয়ে পাইকারি দরে এই কিট পাওয়া যাচ্ছে বলে আদালতের কাছে দাবি করেছেন মামলাকারী। ৪০০ টাকার মধ্যে অনায়াসেই করোনা পরীক্ষা করা যায় বলে দাবি করেছেন আইনজীবী।