জনপ্রতিনিধিদের 'বাড়তি' সম্পত্তি, কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট চাইল সুপ্রিম কোর্ট
সাংসদ কিংবা বিধায়ক হিসেবে কার্যকালের ৫ বছরে নেতা-নেত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট চাইল সুপ্রিম কোর্ট। কেন সরকার তদন্তের তথ্য আদালতের সামনে রাখছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত
সাংসদ কিংবা বিধায়ক হিসেবে কার্যকালের ৫ বছরে নেতা-নেত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট চাইল সুপ্রিম কোর্ট। বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতাসহ অভিযুক্ত ২৮৯ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেই সম্পর্কে রিপোর্ট চেয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
দেশের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের নেতাদের নাম রয়েছে এই তালিকায়। তালিকায় থাকা সাংসদ এবং নেতাদের কারও কারও সম্পত্তির পরিমাণ ৫ বছরে ৫০০ শতাংশ বেড়েছে। কোনও কোনও সাংসদ সম্পত্তির এই বিতর্কিত বৃদ্ধি নিয়ে সরব হয়েছেন। সম্পত্তি কিংবা ব্যবসায় বৃদ্ধির কারণ নিয়ে বৈধ কারণ থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তাঁরা। কিন্তু আদালতের মতে সম্পত্তির বৃদ্ধি আইনগত পথে হয়েছে কিনা।
বিচারপতি চেলামেশ্বর এবং বিচারপতি এস আব্দুল নাজিরের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আয়ের উৎস এবং তা আইনগত পথে হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত করা উচিত।
বিষয়টি নিয়ে তথ্য আদানপ্রদানে অনিচ্ছার অভিযোগ করে, কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলেছে সর্বোচ্চ আদালত। এবং একসপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি করে ২০১৫-র জুনে সিবিডিটির চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি পাঠায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র স্পষ্টভাবে কিছু বলেনি। তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়েও কিছু বলেনি কেন্দ্র। ২০০৯ এবং ২০১৫-র সাধারণ নির্বাচন এবং রাজ্যের নির্বাচনগুলিতে জনপ্রতিনিধিদের পেশ করা সম্পত্তির হিসেব নিয়েই মামলাটি দায়ের করেছিল অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্রেটিক রিফর্মস নামের একটি সংস্থা।
কেন্দ্রের তরফে সিনিয়র অ্যাডভোকেট কে রাধাকৃষ্ণন জানান, যেসব প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলেন তাঁদেরটা নয়, নির্দিষ্ট করে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাদেরটাই তদন্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তদন্তের ফল বিচারবিভাগ এবং নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেও ভাগ করে নেওয়া হয়েছে।
যদিও কেন্দ্রের এই জবাবে সন্তুষ্ট নয় সর্বোচ্চ আদালত। সাধারণ মানুষের কাছে তথ্য থাকলেও, সরকার তদন্তে ভয় পাচ্ছে বলে জানিয়েছে আদালত। কেন সরকার তদন্তের তথ্য আদালতের সামনে রাখছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত। বিষয়টি নিয়ে এফিডেভিট দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে আাদালত।