পারিপার্শ্বিক প্রমাণেও 'দুর্নীতিবাজ' সরকারি কর্মীকে দোষী করা যেতে পারে, বলছে সুপ্রিম কোর্ট
সরাসরি কোনও প্রমাণ না থাকলেও পারিপার্শ্বিক প্রমাণের উপর ভিত্তি করে একজন সরকারি কর্মীকে দোষী সাবস্ত্য করা যেতে পারে। এমনটাই বলল সুপ্রিম কোর্ট। তা সে কোনও প্রমাণ্য নথি না থাকলেও তা করা সম্ভব বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সরাসরি কোনও প্রমাণ না থাকলেও পারিপার্শ্বিক প্রমাণের উপর ভিত্তি করে একজন সরকারি কর্মীকে দোষী সাবস্ত্য করা যেতে পারে। এমনটাই বলল সুপ্রিম কোর্ট। তা সে কোনও প্রমাণ্য নথি না থাকলেও তা করা সম্ভব বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
বিচারপতি এস এ নাজিরের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। আর সেখানেই শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, প্রশাসনকে স্বচ্ছ এবং দুর্নীতিমুক্ত রাখাটা কর্তব্য। আর তাই অভিযোগকারিণীর পাশাপাশি বিচারের অন্য পক্ষকেও এই বিষয়ে প্রচেষ্টা চালাতে হবে যাতে দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মচারীদের দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দেওয়া যায়।
বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি এএস বোপান্না, বিচারপতি ভি রামাসুব্রমানিয়ান এবং বিচারপতি বিভি নাগরত্ন নিয়ে এই সাংবাধিনিক বেঞ্চ তৈরি হয়েছে। আর সেখানেই এক মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ, অভিযোগকারী যদি কোনও প্রমাণ না দিতে পারেন সেক্ষেত্রে পারিপার্শ্বিক প্রমাণের উপর ভিত্তি করা যেতে পারে। প্রয়োজনে অনুমানের উপর ভিত্তি ককরেও তদন্ত করা যেতে পারে বলেও পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্ট।
তবে বিচার চলাকালীন আবেদনকারীর মৃত্যু হয় কিংবা অন্য কোনও কারণে তিনি যদি প্রমাণ পেশ করতে না পারেন সেক্ষেত্রে অন্য পদ্ধতি নেওয়া যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি অপশনের কথাও বলছে আদালত। সাংবিধানিক বেঞ্চের কথা অনুযায়ী, অন্য যে কোনও সাক্ষীর পেশ করা মৌখিক কিংবা নথিগ্রত প্রমাণের উপর ভিত্তি করে মামলার শুনানি চালিয়ে যাওয়া যেতে পারে। পারিপার্শ্বিক প্রমাণের ভিত্তিতেও মামলা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে বলেও পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ এই বেঞ্চ।
তবে মামলা কোনও ভাবে যাতে সহজ এবং হালকা না হয়ে যায় সেদিকে নজর থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেও তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের। শুধু তাই নয়, শুধুমাত্র প্রমাণের অভাবে অভিযুক্ত কোনও সরকারি কর্মী ছাড় পেয়ে যাবেন তা ঠিক নয় বলেও দাবি।
আর এই বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছে, অবৈধ সুবিধার দাবি সম্পর্কিত প্রত্যক্ষ বা প্রাথমিক প্রমাণের অনুপস্থিতিতে, অন্যান্য প্রমাণের ভিত্তিতে একজন সরকারী কর্মচারীর অপরাধের একটি অনুমানমূলক মূল্যায়ন করা যেতে পারে।
শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশ রীতিমত সরকারি কর্মীদের উপর চাপ বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ রক্ষাকবচে ভিত্তিতে সরকারি কর্মীরা ছাড় পেয়ে যান, এক্ষেত্রে তা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।