ওয়ান র্যাঙ্ক-ওয়ান পেনশন সরকারের,নীতিগত সিদ্ধান্ত, জানাল সুপ্রিম কোর্ট
ওয়ান র্যাঙ্ক-ওয়ান পেনশন সরকারের,নীতিগত সিদ্ধান্ত, জানাল সুপ্রিম কোর্ট
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে সশস্ত্র বাহিনীতে ওয়ান র্যাঙ্ক-ওয়ান পেনশন (ওআরওপি) একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত এবং এটি কোনও সাংবিধানিক দুর্বলতার শিকার নয়। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, সূর্য কান্ত এবং বিক্রম নাথের একটি বেঞ্চ বলেছে যে ওআরওপি কেন্দ্রের নীতিগত সিদ্ধান্ত স্বেচ্ছাচারী নয় এবং সরকারের নীতিগত বিষয়গুলিতে আদালত কিছু বলবে না।
আদালত নির্দেশ দেয় যে ওআরওপি-এর মুলতুবি পুনঃনির্ধারণ অনুশীলন, যা পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে আদালতের সামনে বিচারাধীন থাকার কারণে করা হয়নি, এটি ১ জুলাই,২০১৯ থেকে মেনে নিয়ে পেনশনভোগীদের বকেয়া পরিশোধ করা উচিত আগামী তিন মাসে। শীর্ষ আদালত পাঁচ বছরে একবার পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনার বর্তমান নীতির পরিবর্তে স্বয়ংক্রিয় বার্ষিক সংশোধন সহ ভগত সিং কোশিয়ারি কমিটির সুপারিশ অনুসারে ওয়ান র্যাঙ্ক-ওয়ান পেনশন বাস্তবায়নের জন্য প্রাক্তন সৈনিক সমিতির দায়ের করা একটি আবেদন নিষ্পত্তি করেছে।
দীর্ঘ দিন ধরেই 'ওয়ান র্যাঙ্ক ওয়ান পেনশন'-এর দাবি করে আসছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মীরা। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে সেই দাবি চরমে ওঠে। অবস্থান, অনশন আন্দোলন শুরু করেন তাঁরা। ক্ষমতায় আসার আগেই মোদী দাবি পূরণের আশ্বাস দেন। ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ এক পদ এক পেনশন ব্যবস্থা (ওআরওপি)-র পঞ্চম বর্ষপূর্তিতে সেনানীদের অনবদ্য সেবার জন্য শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
প্রথমবার বিধানসভায় উঠল বাংলা ভাগের দাবি! বিজেপি বিধায়কের কথায় শোরগোল
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, "পাঁচ বছর আগে, আজকের দিনে আমাদের মহান সেনানীদের - যাঁরা সাহসের সঙ্গে দেশকে রক্ষা করেছেন, তাঁদের কল্যাণে ভারত এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। ওআরওপি-র পাঁচ বছর পূর্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভারত ওআরওপি-র জন্য দশের পর দশক অপেক্ষা করেছিল। আমি আমাদের প্রাক্তন সেনানীদের তাঁদের অনবদ্য সেবার জন্য শ্রদ্ধা জানাই!"
এর আগে এ নিয়ে ২০১৯ সালে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও রাহুল গান্ধিকে নিশানা করেছিলেন অমিত শাহ, হিমাচল প্রদেশের উনায় একটি দলীয় সভায় যোগ দেন। সেখানেই রাহুল-প্রিয়ঙ্কাকে নিশানা করে অমিত শাহ বলেছিলেন, ''প্রায় ৭০ বছর ধরে সেনা কর্মীদের দাবি কেউ শোনেনি। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার এক বছরের মধ্যে 'এক পদ এক পেনশন' চালু করেছি।'' এর পরই বিজেপি সভাপতির খোঁচা, ''কংগ্রেসও ওয়ান র্যাঙ্ক ওয়ান পেনশন মেনে চলে। আর সেটা হল 'ওনলি রাহুল, ওনলি প্রিয়ঙ্কা'।''