মেধাবী সংরক্ষিত প্রার্থীদের জায়গা হবে সাধারণের তালিকায়, রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট
সংরক্ষিত (quota) আসনের প্রার্থীরা যাঁরা সাধারণ প্রার্থীদের থেকে বেশি নম্বর পেয়েছে, তাঁদের সাধারণ হিসেবেই বিবেচনা করা উচিত। এক্ষেত্রে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (other backward classes) প্রার্থীদের কথা বলেছে সুপ্রিম কোর
সংরক্ষিত (quota) আসনের প্রার্থীরা যাঁরা সাধারণ প্রার্থীদের থেকে বেশি নম্বর পেয়েছে, তাঁদের সাধারণ হিসেবেই বিবেচনা করা উচিত। এক্ষেত্রে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (other backward classes) প্রার্থীদের কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট (supreme court) । যাঁরা সাধারণ প্রার্থীদের শেষে থেকে ব্যক্তির চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে, তাঁদেরকে সাধারণের সঙ্গে বিবেচনার কথা বলা হয়েছে।
শীর্য আদালতের নির্দেশ
সর্বোচ্চ আদালতের তরফে বলা হয়েছে, সাধারণ ক্যাটেগরিতে এইসব প্রার্থীদের বিবেচনার করার পরে সংরক্ষিত বিভাগের জন্য নির্ধারিত আসনগুলিতে মেধার ভিত্তিতে সংরক্ষিত প্রার্থীদের মধ্যে থেকে পূরণ করা হোক।
১৯৯২ সালের নির্দেশের উল্লেখ
এব্যাপারে রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি এমআর শাহ এবং বিভি নাগারত্ন বেশ কিছু আদেশের কথা উল্লেখ করেছেন। তার মধ্যে রয়েছে, ১৯৯২ সালের ইন্দ্র সাহনি বনাম ভারত সরকারের মামলা বিশেষ করে যা মণ্ডল কমিশনের রায় নামে পরিচিত। ওই মামলায় দুই ওবিসি ক্যাটেগরির প্রার্থীরা বিএসএনএল-এ চাকরির জন্য মামলা করেছিলেন।
আইনজীবীর সওয়ালকে মান্যতা
শীর্ষ
আদালতের
তরফে
সংরক্ষিত
প্রার্থীদের
তরফে
সওয়াল
করা
আইনজীবী
রাজীব
ধওয়ানের
যুক্তি
গ্রহণ
করেন
দুই
বিচারপতির
বেঞ্চ।
যেখানে
বলা
হয়েছে
সংরক্ষিত
প্রার্থীরা
সাধারণ
প্রার্থীদের
থেকে
বেশি
নম্বর
পেলে,
তাঁকে
সাধারণ
প্রার্থী
হিসেবেই
বিবেচনা
করতে
হবে।
এক্ষেত্রে
সংরক্ষিত
যতগুলি
আসন
রয়েছে,
সেখানে
সংরক্ষিত
প্রার্থীদের
থেকেই
পূরণ
করতে
হবে।
আদালতের
তরফে
আগেকার
দুই
প্রার্থী
অলোক
কুমার
যাদব
এবং
দীনেশ
কুমারের
কথা
উল্লেখ
করা
হয়েছে,
যাঁরা
অন্যান্য
অনগ্রসর
শ্রেণির
প্রার্থী
ছিল।
সাধারণ
প্রার্থীদের
থেকে
তাঁরা
মেধাবী
হওয়ায়,
তাঁদেরকে
সাধারণ
প্রার্থীদের
সঙ্গে
সামঞ্জস্য
করার
দরকার।
ফলে
তাদের
নিয়োগের
বিষয়টি
সাধারণ
হিসেবে
বিবেচনা
করার
পরে
সংরক্ষিত
আসনগুলি
মেধার
ভিত্তিতে
সংরক্ষিত
প্রার্থীদের
মধ্যে
থেকে
পূরণ
করার
প্রয়োজনীয়তার
কথা
বলেছে
সুপ্রিম
কোর্ট।
বেঞ্চের
তরফে
আরও
বলা
হয়েছে,
যদি
এই
পদ্ধতি
অনুসরণ
করা
হত,
তাহলে
মূল
আবেদনকারী
সন্দীপ
চৌধুরী
সংরক্ষিত
বিভাগে
মেধার
ভিত্তিতে
সুযোগ
পেতেন।
এক্ষেত্রে
রাজস্থান
হাইকোর্টের
পর্যবেক্ষণে
ত্রুটি
নেই।
যেখানে
দুই
প্রার্থী
অলোক
কুমার
যাদব
এবং
দীনেশ
কুমারকে
সাধারণ
প্রার্থী
হিসেবে
বিবেচনা
করার
পক্ষেই
মত
প্রকাশ
করা
হয়েছে।
সাধারণ প্রার্থীকে সরানো যাবে না
তবে আদালতের তরফে এও বলা হয়েছে, এই কাজ করতে গিয়ে দুই সাধারণ প্রার্থীকে বাদ দেওয়া কিংবা সরানো যাবে না। ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য সাধারণ যে দুই প্রার্থী ইতিমধ্যেই নিয়োগপত্র পেয়েছেন তাঁদেরকে অপসারণ করা যাবে না। অন্যদিকে এই মামলার মূল আবেদনকারী একজন সংরক্ষিত প্রার্থী হিসেবেও সুযোগ পাবেন। সুপ্রিম কোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অলোক কুমার যাদব এবং দীনেশ কুমার সংরক্ষিত প্রার্থী হলেও, তাঁদেরকে সাধারণ হিসেবে নিয়োগ করা যাবে। তবে এর জন্য আগে থেকেই সাধারণ বিভাগে থাকা দুজনকে সরানো যাবে না।
সাড়ে ১১ হাজার চুক্তি ভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করবে স্বাস্থ্য দফতর! জারি হল নির্দেশিকা