লকডাউনে বেতন না দেওয়া বেসরকারি সংস্থাগুলির ভবিষ্যৎ কী? নির্দেশিকায় যা জানাল সুপ্রিমকোর্ট
লকডাউনের জেরে দেশের অর্থনীতির চাকা প্রায় থমকে গিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে লকডাউন শিথিল করে ফের অর্থনীতি চাঙ্গা করার প্রয়াস চলছে। তবে বহু রাজ্যেই এখনও অর্থনৈতিক কাজকর্ম শুরু করা কঠিন হচ্ছে। পাশাপাশি গত আড়াই মাসের লকডাউন পরিস্থিতিতে বহু মানুষ বেকারত্বের শিকার হয়েছে। যাদের চাকরি ছিল, তাদেরও অনেকে বেতন পায়নি।
কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে বিপাকে পড়ে বেসরকারি সংস্থাগুলি
এই পরিপ্রেক্ষিতেই গত ২৯ শে মার্চ কেন্দ্র সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায় যে, লকডাউনের সময় কর্মচারীদের পুরো বেতন দেওয়া বাধ্যতামূলক। এতে অবশ্য বিপাকে পরে ধুকতে থাকা বেসরকারি সংস্থাগুলি। কোভিড- ১৯ এর সংক্রমণ রুখতে জারি করা লকডাউন চলার সময়ে যে সব সংস্থা বন্ধ ছিল তাঁদের কর্মীদের কোনও কাটছাঁট না করেই বেতন দেওয়ার কথা বলা হয়।
কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে মামলা
সেই নির্দেশিকার বিরুদ্ধেই সরব হয়ে সুপ্রিমকোরেটের দ্বারস্থ হয়েছিল বহু বেসরকারি সংস্থা। তাদের দাবি ছিল ওই নির্দেশিকার বৈধতা নিয়ে। শেষ পর্যন্ত বেসরকারি সংস্থার নিয়োগকারীদের জন্যে খানিকটা স্বস্তি দিয়ে এই বিষয়ে রায় দিল শীর্ষ আদালত।
কী রায় দিল সুপ্রিমকোর্ট?
এদিন শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, লকডাউনের সময় যে বেসরকারি সংস্থাগুলো কর্মীদের বেতন দেয়নি, তাঁদের বিরুদ্ধে জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। কেন্দ্রের সেই নির্দেশিকার বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত। এই বিষয়ে জবাব দেওয়ার জন্যে কেন্দ্রকে আরও ৪ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।
আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান
শীর্ষ আদালত বলেছে যে, প্রয়োজনে বেতন দেওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন রাজ্যের কর্মচারী ও নিয়োগকারীদের মধ্যে আলোচনাও চালানো যেতে পারে। তারপর সেই আলোচনার বিষয়ে লেবার কমিশনারদের কাছে একটি রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
করোনা ব্যবসায় জর্জরিত মানুষ! ১ লক্ষ টাকার পিপিই-র বিল মেটাতে ঋণ নিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকেই