কেন্দ্র-রাজ্য সরকারগুলি আবেদন প্রত্যাখ্যান! অঙ্গনওয়াড়িকর্মীরা গ্র্যাচুয়িটি পাওয়ার যোগ্য, বলল সুপ্রিম কোর্ট
বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্প একেবারে তৃণমূলস্তরে রূপায়ণ করেন তাঁরাই। সমাজে গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা দিলেও সামান্য পারিশ্রমিক পান। এবার সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে দেশের ২৫ লক্ষের বেশি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের (anganwadi worker) স্বস্
বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্প একেবারে তৃণমূলস্তরে রূপায়ণ করেন তাঁরাই। সমাজে গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা দিলেও সামান্য পারিশ্রমিক পান। এবার সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে দেশের ২৫ লক্ষের বেশি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের (anganwadi worker) স্বস্তি। তাঁরা গ্র্যাচুয়িটি (gratuity) পাওয়ার যোগ্য বলেই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) । অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের দুর্দশা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে নজর দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির আবেদন খারিজ
শুনানিতে অংশ নিয়ে বিচারপতি অজয় রাস্তোগি এবং অভয় এস ওকার কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি রাজ্য সরকারগুলির আবেদনও প্রত্যাখ্যান করেছেন। প্রায় ১৬ বছরের আইন যুদ্ধের অবসান হল সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে। এই লড়াই শুরু করেছিলেন গুজরাতের ৫ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। সর্বোচ্চ আদালত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের পক্ষে রায় দিয়ে সরকারগুলিকে বলেছে কর্মীদের আরও ভাল সুবিধা দেওয়ার উপায় খুঁজে বের করতে। আদালত মনে করছে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা নিঃশব্দে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে চলেছেন।
২০১৭-তে হাইকোর্টে হারের পরে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন
২০১৭ সালে গুজরাত হাইকোর্টের এব্যাপারে হেরে গিয়েছিলেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। এরপর আইনজীবী পিওলির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন তাঁরা। সেখানে বলা হয় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের জন্য পেমেন্ট অফ গ্র্যাচুয়িটি অ্যাক্ট ১৯৭২ প্রযোজ্য। তাঁরা পূর্ণ সময়ের কর্মী নয়, সরকারগুলি দাবি রায় দিতে গিয়ে খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বিষয়ে একমত হলেও পৃথক রায়
বিষয়টি
নিয়ে
উভয়
বিচারপতি
একমত
হলেও
এব্যাপারে
আলাদা
রায়
দিয়েছেন
তাঁরা।
বিচারপতি
রাস্তোগি
বলেছেন
সামাজিক
সুরক্ষা
আইনগুলিকে
আরও
উদারভাবে
ব্যাখ্যা
করা
উচিত।
তিনি
বলেছেন,
যখন
কোনও
একটি
বিধি
কোনও
একটি
শ্রেণির
সুবিধার
জন্য
বোঝানো
হয়,
সেখানে
যদি
একটি
শব্দের
দুরকমের
অর্থ
হয়,
যেমন
একটি
সুবিধা
দেবে
এবং
অপরটি
দেবে
না,
তাহলে
আগেরটিকেই
গ্রহণ
করতে
হবে।
অন্যদিকে
বিচারপতি
ওকার
বলেছেন,
অঙ্গনওয়াড়িকর্মীদের
ওপরে
দায়িত্ব
প্রচুরি।
তার
মধ্যে
রয়েছে
সুবিধাভোগীদের
সনাক্তকরণ,
পুষ্টিকর
খাবার
রান্না
করা,
বাচ্চাদের
জন্য
প্রিস্কুল
পরিচালনা
করা,
শিশু
ও
গর্ভাবতী
মহিলাদের
নিয়ে
গুরুত্ব
বিধানগুলি
বাস্তবায়ন
করা।
সেখানে
তাদের
চাকরিকে
সল্পসময়ের
চাকরি
বলা
যায়
না।
অঙ্গনওয়াড়িকর্মীরা বঞ্চিত
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, যদি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের দিকে তাকানো যায়, তাহলে দেখা যাবে, তাঁরা বেতন এবং অন্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত যা সরকারি কর্মীরা পেয়ে থাকে। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের কাজের ধারা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। অন্যদিকে গুজরাত, দিল্লি এবং বম্বে হাইকোর্ট রায়ও ছিল পরস্পর বিরোধী। যার সমাধান করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।