কেন্দ্রকে ভ্যাকসিনের 'ক্লিনিকাল ট্রায়ালের' তথ্য প্রকাশ করতে বলল সুপ্রিম কোর্ট
কেন্দ্রকে ভ্যাকসিনের 'ক্লিনিকাল ট্রায়ালের' তথ্য প্রকাশ করতে বলল সুপ্রিম কোর্ট
গতকালই নতুন ভ্যাকসিন জনসন অ্যান্ড জনসনকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে মোদী সরকার। টুইট করে সে কথা জানিয়েওছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডভিয়া৷ তার ২৪ ঘন্টার মধ্যে কেন্দ্র সরকারের কাছে জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাকসিনের ব্যবহারের তথ্য চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন জ্যাকব পুলিয়েল নামের এক ব্যক্তি৷ এই পিআইএল প্রসঙ্গেই করোনা ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নিয়ে কেন্দ্রের কাছে থাকা সমস্ত তথ্য চেয়ে পাঠাল সর্বোচ্চ আদালত৷ এই মর্মে সুপ্রিম কোর্ট থেকে কেন্দ্রকে একটি নোটিশও পাঠানো হয়েছে৷
দেশের বিখ্যাত উকিল এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব প্রশান্ত ভুষণের মাধ্যমেই সুপ্রিম কোর্টে এই PIL দায়ের করেছেন জ্যাকব পুলিয়েল৷ নোটিশের মাধ্যমে কেন্দ্রের কাছে ঠিক কী চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট? সরকারকে টিকা-পরবর্তী টিকা সমস্ত তথ্য প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানাতে চেয়েছে, যারা কোভিড টিকা নেওয়ার ন্পরও সংক্রমিত হয়েছেন তাদের উপর এই টিকার প্রভাব কতটা? এই রকম রোগীদের হাসপাতালে যাওয়া ও মৃত্যুহার কী রকম? টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর সাধারণত কী কী নেগেটিভ প্রভাব মানুষের শরীরে দেখতে পাওয়া গিয়েছে? এমনকি জ্যাকবের করা পিআইএলটিতে এও দাবি করা হয়েছে যে সাধারণ মানুষের অনেকক্ষেত্রেই এই টিকাকরণ জোর করে চাপানো হয়েছে৷ টিকা ছাড়া জীবিকাও হারাতে হয়েছে অনেক মানুষকে!
টিকাকরণ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলার আবেদনকারর পক্ষ থেকে সোমবার সংবাদমাধ্যমকে বলা হয়, ভারতে, ভ্যাকসিনগুলি যেভাবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত হয়েছে, তা ভবিষ্যতে টিকাকরণকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করার সম্ভাবনাকেও বাধা দেয়। এই পরিস্থিতিতে আবেদনকারী আন্তর্জাতিক আদালতের নিয়ম অনুসারে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এবং টিকা-পরবর্তী তথ্য প্রকাশের জন্য এই আদালতে আপিল করতে বাধ্য হয়ছেন।
প্রসঙ্গত গতকাল দেশের প্রথম সিঙ্গেল ডোজ ভ্যাকসিন জনসন অ্যান্ড জনসনকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। তৃতীয় ওয়েভ আসার আগেই দেশের বড় অংশের মানুষকে সার্বিক টিকাকরণের আওতায় আনতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। দেশে এখন মোটামুটিভাবে কোভিশল্ড, কোভ্যাকসিন, স্পুটনিকের টিকার ব্যবহার চলছে৷ কিন্তু অতি দ্রুত দেশের বড় অংশের মানুষকে টিকা দিতে আরও ভ্যাকসিনের প্রয়োজন রয়েছে৷ সেখান থেকেই জনসন অ্যান্ড জনসনের মতো করোনা টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকেও জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের ছাড়পত্র দিচ্ছে কেন্দ্র৷ ফাইজার, মডার্নার মতো ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিও ভারতে ছাড়পত্র পাওয়ার দৌড়ে রয়েছে৷ দেশের প্রথম ডিএনএ করোনা ভ্যাকসিন বানানোর পথে রয়েছে জাইডাস ক্যাডিলাও।