দেশের অর্থনীতি ধাক্কা খেয়েছে লকডাউনের জেরে! কেন্দ্রকে তোপ সুপ্রিমকোর্টের
করোনা ভাইরাসের জেরে দেশজুড়ে লকডাউন চলাকালীন ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে সুদ মকুবের আবেদন জানিয়ে মামলা করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। এবিষয়ে সরকারকে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলল শীর্ষ আদালত। ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে সুদ মকুব করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।
কী বলে শীর্ষ আদালত?
এই সংক্রান্ত একটি মামলায় আজ শীর্ষ আদালত বলে, আরবিআই-এর পিছনে থেকে নিজেদের আড়াল করতে পারে না সরকার। সুপ্রিম কোর্টের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের তরফে বলা হয়, সুদ মকুবের দিকে এগোলে ব্যবসা এবং ব্যাঙ্কগুলি ক্ষতির মুখে পড়তে পারে৷ তখন সুপ্রিম কোর্ট বলে, দেশজুড়ে লকডাউনের কারণেই এই পরিস্থিতি, যার দায় কেন্দ্রীয় সরকার এড়াতে পারে না।
সুদ মকুবের আবেদন জানিয়ে মামলা
করোনা ভাইরাসের জেরে দেশজুড়ে লকডাউন চলাকালীন ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে সুদ মকুবের আবেদন জানিয়ে মামলা করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। এবিষয়ে সরকারকে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলে শীর্ষ আদালত। আজ এই মামলার শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্ট বলে, 'বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের অধীনে 'পর্যাপ্ত ক্ষমতা' থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্র তার অবস্থান স্পষ্ট করেনি।' বেঞ্চের অন্য বিচারপতি এম আর শাহ বলেন, 'এখন কেবল ব্যবসা নিয়ে ভাবার সময় নয়।'
দেশে লকডাউন করেছেন বলেই এটি ঘটেছে
এই আইনের আওতায় সরকার সুদ মকুব করতে পারে কি না, সেবিষয়ে জানতে চায় আদালত। সলিসিটার জেনেরাল তুষার মেহতা বলেন, 'একই আইনের আওতায় সবকিছুর সমাধান হতে পারে না।' তখন কেন্দ্রকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ বলে, 'আপনি পুরো দেশে লকডাউন করেছেন বলেই এটি ঘটেছে। বিপর্যয় মোকাবিলা আইন এবং সুদ মকুব করা যায় কিনা তা বিবেচিত হবে৷ তবে আপনাকে দু'টি বিষয় সম্পর্কে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে।'
কী দাবি ছিল আবেদনকারীর
প্রসঙ্গত, আবেদনকারীরা চেয়েছিলেন যে ২৭ মার্চ প্রকাশিত আরবিআই-এর নোটিশের কিছু অংশ বাতিল করা হোক যাতে সুদ মকুব করা যায়। তাঁরা বলেছিলেন, এই সুদ সংবিধানের আওতায় স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকারকে লঙ্ঘন, বাধা ও খর্ব করে। এর আগে আরবিআই শীর্ষ আদালতে জানায়, 'মেয়াদি ঋণ পরিশোধে লকডাউনের সময়ে সুদ মকুব হতে পারে না। কারণ, এই পদক্ষেপ ব্যাঙ্কগুলিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে।'
আরবিআই-এর পিছনে আড়াল হওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্র
এরপরই আদালত মন্তব্য করে, 'আরবিআই-এর পিছনে আড়াল করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র।' এদিকে তুষার মেহতা বলেন, 'আমরা আরবিআই-এর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি।' অপরদিকে আবেদনকারীর পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, 'এই স্থগিতাদেশ ৩১ অগাস্ট শেষ হবে এবং এর মেয়াদ বাড়ানো হোক।' তিনি বলেন, 'এই আবেদনগুলির সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো উচিত।'
টার্গেটে সংসদভবন! নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা দিল্লিতে গ্রেফতার সন্দেহভাজন কাশ্মীরি