প্রধানমন্ত্রী মোদীর নিরাপত্তায় ত্রুটি, পাঞ্জাব কাণ্ডে ফিরোজপুরের SSP-ই দায়ী, ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের
প্রধানমন্ত্রী মোদীর নিরাপত্তায় ত্রুটি, পাঞ্জাব কাণ্ডে ফিরোজপুরের SSP-ই দায়ী, ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের
প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা মামলায় চাপে পাঞ্জাব পুলিশ। ফিরোজপুরে এসএসপির গাফিলতিতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর িনরাপত্তায় ত্রুটি ধরা পড়েছে। ২ ঘণ্টা আগে ফিরোজপুরের এসএসপিকে খবর দেওয়া হয়েছিল েয প্রধানমন্ত্রী মোদী সেই পথ দিয়ে যাবে। তারপরেও প্রধানমন্ত্রীকে সুরক্ষা দিতে পারেনি ফিরোজপুরের এসএসপি।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে পাঞ্জাবের ফিেরাজপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সুরক্ষায় গলদ ধরা পড়েছিল। যে পথ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী যাচ্ছিলেন সেই পথেই হঠাৎ করে চাষীদের একটি মিছিল এসে হাজির হয়। তারপরেই প্রধানমন্ত্রীর কনভয় সেখান থেকে ফিরে যায়। কীভাবে প্রধানমন্ত্রীর যাত্রা পথের মধ্যে এই ধরনের মিছিল এলো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আগে থেকে প্রধানমন্ত্রী আসার খবর থাকার পরেও কীভাবে তাঁর যাত্রা পথে মিছিল ঢুকল তা নিয়ে পাঞ্জাব পুলিশের কাছে কৈফিয়ৎ তলব করা হয়েছিল।
এই নিয়ে এনআইএ তদন্ত শুরু হয়েছিল। পাঞ্জাব পুিলশকে কাঠগড়ায় দঁাড় করিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলায় দায়ের হয়। সেই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এনভি রমনার েনতৃত্বাধীন বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ এই ঘটনার দায় ফিরোজপুরের এসএসসিপ উপর দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য ফিরোজপুরের এসএসসিকে ২ ঘণ্টা আগে জানানো হয়েছিল তাঁর প্রধানমন্ত্রীর পথ। তারপরেও তিনি সতর্ক হননি বা প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীদের জানাননি। সুপ্রিমকোর্ট আরও জানিয়েছে যে প্রধানমন্ত্রীর যাত্রা পথের সুরক্ষা দেওয়ার মত যথেষ্ট পুলিশকর্মী মজুত ছিল তাঁর কাছে। তারপরেও তিিন তৎপর হননি।
প্রধানমন্ত্রীর িনরাপত্তায় ত্রুটির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ৫ সদস্যের কমিটি গড়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তাতে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ইন্দু মলহোত্রা। তাঁর েনতৃত্বেই কমিটি পর্যবেক্ষণ এবং তদন্ত করে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়েছিল। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই এদিন এই মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি।
বছরের শুরুতেই পাঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনের আগে পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে প্রচারে গিয়েছিলেন প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফিরোজপুর থেকে ভাটিন্ডা যাচ্ছিলেন তিনি। সেখানে দিল্লি অমৃতসর কাটরা এক্সপ্রেসওয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই ঘটে এই বিপত্তি। যে রাস্তায় দিয়ে ফিরোজপুর থেকে ভাটিন্ডা যাচ্ছিলেন তিনি সেখানে হঠাৎ করে সেতুর উপরে প্রায় ২ ঘণ্টা আটকে ছিল তাঁর কনভয়। কারণ তাঁর যাত্রা পথে হঠাৎ হাজির হয়েছিল একটি মিছিল। তার জেরেই প্রধানমন্ত্রীর কনভয় এগোতে পারেনি। শেষে হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র েমাদীকে কপ্টারে দিল্লি ফিরিয়ে িনয়ে যাওয়া হয়। এই িনয়ে ভোটের আগে বেজায় চপে পড়েছিল চান্নি সরকার। সেসময় পাঞ্জাব পুলিশের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।
বিলকিস বানোর ধর্ষকদের কেন মুক্তি? গুজরাট সরকারকে নোটিস ধরাল সুপ্রিমকোর্ট