জোর করে ধর্মান্তরকরণে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে, পর্যবেক্ষণে সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্ট সোমবার বলেন, জোর করে ধর্মান্তরকরণে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে,
জোর করে ধর্মান্তরণ দেশের একটা গুরুতর সমস্যা। এরফলে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কেন্দ্রকে এই বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন বলে সোমবার সুপ্রিমকোর্ট একটি পর্যবেক্ষণে জানায়। এই ধরনের ঘটনা রোধে কেন্দ্র কি পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে হলফানামা দেওয়ার নির্দেশ দিল সু্প্রিম কোর্ট।
জোর করে ধর্মান্তরকরণ দেশের গুরুতর সমস্যা
সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি এম আর শাহ এবং হিমা কোহলির বেঞ্চ জানায়, জোর করে ধর্মান্তরকরণের অভিযোগ সত্যি হলে তা অত্যন্ত গুরুতর সমস্যা। জোর করে ধর্মান্তরকরণের জেরে সমগ্র জাতির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। দেশের নাগরিকদের স্বাধীনভাবে ধর্মচারণার পথে এটা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, জোর করে ধর্মান্তরকরণ বন্ধ করতে কেন্দ্রের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তা না হলে, দেশকে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে। এই বিষয়ে কেন্দ্র কী পদক্ষেপ করছে, তা এক সপ্তাহের মধ্যে জানাতে হবে।
জোর করে ধর্মান্তরকরণে কেন্দ্রের ভূমিকা
দিল্লির বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়ের দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলা করেন। সেখানে জোর করে ধর্মান্তরকরণকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য করার দাবি করা হয়। জোর করে ধর্মান্তরকরণের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যে একাধিক রাজ্য কঠোর অবস্থান নিয়েছে। জোর করে ধর্মান্তরকরণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে উত্তরপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে অভিযুক্তকে। আগামী ২৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে এই জনস্বার্থ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
প্রতারণা করে ধর্মান্তরকরণের অভিযোগ
জনস্বার্থ মামলায় আবেদনকারী বলেন, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ধর্মান্তরকরণের জন্য অনেকক্ষেত্রে বিদেশ থেকে আর্থিক সাহায্য করা হয়। অনেক সময় ভয় দেখিয়ে ধর্মান্তরকরণ করা হয় বলে বিজেপি নেতা জনস্বার্থ মামলায় অভিযোগ করেন। তিনি সুপ্রিম কোর্টে বলেন, অনেক সময় ধর্মান্তরকরণের জন্য প্রতারণার আশ্রয় নেওয়া হয়। আর্থিক সাহায্য, উপহার, বিশেষ সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্মান্তরকরণ করা হয়। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলো অনুচ্ছেদ ১৫(৩) এর ধর্মান্তরকরণ নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি।
জোর করে ধর্মান্তরকরণ মৌলিক অধিকার নয়
সুপ্রিম কোর্টে বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায় জানিয়েছেন, ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৫-তে উল্লেখ করা রয়েছে, ধর্মীয় স্বাধীনতা শুধু বিশ্বাসের ক্ষেত্রে দেওয়া হয় না। এক ব্যক্তি যদি কোনও ধর্মের অনুশাসন সঠিকভাবে উপভোগ করতে পারেন, তবেই তিনি ধর্মীয় স্বাধীনতা পালন করছেন। কিন্তু কোনও ব্যক্তির অন্য কাউকে নিজের ধর্মে রূপান্তরিত করা কোনও মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে না।
অনন্তকাল কি জেল হেফাজতেই কাটাতে হবে! হতাশ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রশ্ন আদালতে