পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে নেওয়া যাবে না টাকা, সব দায়িত্ব রাজ্যের! নির্দেশ সুপ্রিমকোর্টের
ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের বাড়ি ফিরতে স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। কিন্তু এই শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে সফর করার সময় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন অনেকে। অনেকে ট্রেনে সফর করার সময় খিদে ও ধকলের জেরে মারাও গেছেন। আর এই বিষয়টি বর্তমানে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসছে।
পরিযায়ী বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে সুপ্রিমকোর্ট
তাই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে সুপ্রিমকোর্ট কেন্দ্রের সামনে বেশ কিছু কঠিন প্রশ্ন তুলে ধরে। জানতে চাওয়া হয়, এই শ্রমিকদের সাহায্য করতে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলি কী পদক্ষেপ করছে। এরপর এক নির্দেশ দিয়ে সুপ্রিমকোর্টের তরফে জানিয়ে দেওা হয়, নিজ নিজ রাজ্যে ফেরাতে শ্রমিকরা বাস বা ট্রেন যেই যানবাহনই ব্যবহার করুক, তাদের থেকে কোনও রকমের ভাড়া নিতে পারবে না কেউ। দায়িত্ব বর্তাবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের উপর।
কী জানায় কেন্দ্র?
কেন্দ্রের তরফের আইনজীবী সলিসিটর জেনেরাল তুষার মেহতা এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিমকোর্টের কমপক্ষে ৫০টি প্রশ্নের সম্মুখীন হন। তিন বিচারপতির বেঞ্চ তুষার মেহতাকে খাবার, অর্থ, আশ্রয় এবং পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করেন । বিচারপতিদের বেঞ্চ বলে, 'সবথেকে বড় সমস্যা হল ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি তাঁদের খাবারের ব্যবস্থা করা। তাঁরা নাম নথিভুক্ত করানোর পরও সপ্তাহের পর সপ্তাহ পরিবহনের জন্য অপেক্ষা করছেন।' এরপরেই আদালত প্রশ্ন করে, 'কোনওভাবে কি এই মানুষগুলোর কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে? রাজ্যগুলি কীভাবে এই শ্রমিকদের খরচ মেটাচ্ছে?'
ত্রাণের ব্যবস্থার নির্দেশ
আদালতের তরফে বলা হয়, 'আমরা মানছি একই সময়ে সকলের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। কিন্তু যতদিন না তাঁদের নিজেদের রাজ্যে ফেরার ব্যবস্থা করা হয় ততদিন খাবার ও আশ্রয় দেওয়া আবশ্যিক।'
সুপ্রিমকোর্টের এক পর এক প্রশ্নের মুখে পড়ে কেন্দ্র
সুপ্রিমকোর্টের এক পর এক প্রশ্নের মুখে পড়ে কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, ১ মে থেকে স্পেশাল ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়ার পর থেকে ৯১ লাখ শ্রমিককে তাঁদের রাজ্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। শেষ কয়েকদিনে রেলের তরফে ৮৪ লাখ মানুষকে খাবার দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, যতদিন না পর্যন্ত সমস্ত শ্রমিক তাঁদের বাড়ি ফিরতে পারছেন ততদিন পর্যন্ত ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করা হবে না।
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির তরফে খামতি থেকে যাচ্ছে
আদালতের তরফে বলা হয়, এক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির তরফে খামতি থেকে যাচ্ছে। তাই আটকে থাকা শ্রমিকদের জন্য দ্রুত ত্রাণের ব্যবস্থা করার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি ত্রাণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি কী পদক্ষেপ করেছে সেবিষয়ে হলফনামাও দাখিল করতে বলা হয়।
ইতিহাস গড়ল মেডিকেল কলেজ, সংরক্ষণ করল কোভিডজয়ীর প্লাজমা