বাড়ি খুঁজছেন মায়াবতী, মুলায়ম ও অখিলেশ! কেন জানেন
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট উত্তর প্রদেশের একটি আইন সংশোধনী বরখাস্ত করেছে, যার বলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরা ক্ষমতা হারানোর পরেও সরকারি বাসভবনে থাকার সুবিধা পেতেন।
তারা তিনজনেই উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবারের পর হয়তো তিনজনেই থাকার ঘর খুঁজতে বেরোবেন। দরাদরি করতে হবে দাম বা ভাড়া নিয়ে। কারণ তাঁদের এতদিনের বিনে পয়সার সরকারি ছাদটা কেড়ে নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
[আরও পড়ুন:প্রাণনাশের হুমকি নিয়ে তৃণমূলকে ক্লিনচিট দিলেন কমিশনার, কী বার্তা পেল বিজেপি]
উত্তরপ্রদেশে আইনে একটি সংশোধনীর বলে এতদিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরা ক্ষমতা হারানোর পরেও সরকারি বাসভবন উপভোগ করতেন। এখন যেমন রাজ্যের এই তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীই লক্ষ্ণৌতে সরকারি বাংলোয় থাকেন। কিন্তু সোমবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে খারিজ হয়ে গেল ওই সংশোধনী। ফলে শীঘ্রই ওই বাংলোগুলি ছাড়তে হবে তাদের।
বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায়, আইনটি সংবিধানে যে সাম্যের কথা বলা হয়েছে তাকে লঙ্ঘন করে এবং এটা সংবিধান-বিরোধী। বিচারপতিদের ওই বেঞ্চ আরও বলে, এই সংশোধনীটি 'খামখেয়ালি ও বৈষম্যমূলক'। কারণ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পদ হারালে জনসাধারণের থেকে তাদের কোনও পার্থক্য থাকে না।
একটি এনজিও-র আবেদনের ভিত্তিতে মামলাটি হয়। গত ১৯ এপ্রিল আদালত রায় ঘোষণা স্থগিত রেখেছিল। তবে এদিনের এই রায়ের পর অন্যান্য রাজ্যগুলিতে, যেখানে একই ধরনের আইন রয়েছে সেসব জায়গাতেও এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। দাবি উঠবে ওই আইন বাতিল করার। অখিলেশ যাদবের সরকারের আমলে 'ইউপি মিনিস্টার্স (বেতন, ভাতা এবং বিবিধ সুবিধা) অ্যাক্ট, ১৯৮১'-এ ওই সংশোধনী আনা হয়েছিল। তাকেই চ্যালেঞ্জ করেছিল এনজিওটি।
এর আগে ২০১৬-য় এই একই এনজিও 'দ্য অ্যালটমেন্ট অব হাউসেস আন্ডার কন্ট্রোল অব দ্য এস্টেট ডিপার্টমেন্ট বিল-২০১৬' নামে উত্তরপ্রদেশের আরেকটি আইনেরও বিরোধিতা করেছিল। এই আইন বলে বিভিন্ন ট্রাস্ট, সাংবাদিক, রাজনৈতিক দল, বিধানসভার স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার, বিচার বিভাগ ও সরকারি কর্মকর্তাদের সরকারি আবাসন বরাদ্দ করা হত।
সেই মামলার রায় ঘোষণার সময়ই সুপ্রীম কোর্টের সুপারিশ ছিল উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের সরকারি বাংলো বরাদ্দ করাটা 'আইনের চোখে খারাপ'। ক্ষমতা হারানোর দু'মাসের মধ্যে তাঁদের বাংলো খালি করে দেওয়া উচিত। আদালত বাংলোর বাসিন্দাদের কাছ থেকে যথোপযুক্ত ভাড়ার আদায়ের কথাও বলেছিল।
এদিনের রায়ের বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের মুখপাত্র শ্রীকান্ত শর্মা বলেন, 'সরকার আদালতের নির্দেশ খতিয়ে দেখে আইন অনুযায়ী তাকে গ্রহণ করবে।'
[আরও পড়ুন:৩৪০টি অভিযোগের নথি পেশের নির্দেশ, ভোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে কী আভাস হাইকোর্টের ]