'সুপ্রিম ' সিদ্ধান্তকে বুড়ো আঙুল দেখাল দিল্লি, দূষণের মাত্রা জানলে চমকে যাবেন
রাজধানীকে দীপাবলিতে দূষণহীন করতে বাজি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পুড়ল দেদার বাজি।
দিওয়ালি মানে আলোর উৎসব। প্রদীপ জ্বালানো, দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা, রঙ্গোলি, মিষ্টি বিতরণ। কিন্তু এর আরও একটি অনুসঙ্গ বাজি পোড়ানো।
রাজধানীকে দীপাবলিতে দূষণহীন করতে বাজি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পুড়ল দেদার বাজি। দিল্লি ও তার আশপাশের এলাকায় বাজি ফাটানোর প্রকোপে দূষণের চাদরে ঢাকল রাজধানী।
এক ব্যক্তির পিটিশনের ভিত্তিতে দিল্লিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে দিল্লিতে বাজি বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকেই দেখা গেল সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ কার্যত প্রহসন।
দীপাবলিতে দিল্লির বাতাস দূষিত হওয়াক পরিসংখ্যান চমকে দেওয়ার মতো। পরিসংখ্যান অনুযায়ী গতবারের চেয়ে আদৌ কমেনি। বরং তা পৌঁছে যায় বিপজ্জনক স্তরেই। এ ক্ষেত্রে বাজি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার প্রভাবই পড়েনি।
পরিসংখ্যান অনুযায়ি অতিসূক্ষ্ম বস্তুর উপস্থিতি ২.৫ প্রতি মাইক্রন থেকে ১০ প্রতি মাইক্রন ছিল। যা সরাসরি নিঃশ্বাসের মধ্যে দিয়ে ঢুকে রক্তে মিশে যায়। সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ সেই মাত্রা বিপদজনক স্তর পেরিয়ে গিয়েছিল।
রাত দশটার সময় দিল্লির মন্দিরমার্গে নির্ধারিত ৬০ ইউনিটের বদলে ২.৫ কনসেনট্রশনের মাপ ছিল ৩৯০ ইউনিট। আর পিএম ১০ যার মাপ থাকা উচিত ১০০ সেটা ছিল ৪৮০।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পক্ষ থেকে আর এম পুরম স্টেশনে পিএম ২.৫ ছিল ৮৭৮ এবং পিএস ১০ ছিল ১,১৭৯ মাইক্রোগ্রাম।
তবে নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড ও সালফার ডাই অক্সাইড ছিল নিয়ন্ত্রণ মাত্রার মধ্যেই। তবে ২৪ ঘন্টায় দূষণের যে মাত্রা থাকে তার থেকে দূষণ ছিল ১০ গুণ বেশি। তবে দিল্লি ও তার আশপাশের মানুষ সন্ধ্যা ৬টা অবধি অনেক কম শব্দদূষণ পেয়েছেন এবার। তবে রাত ১১টা থেকে ভোররাত ৩টা অবধি দূষণের মাত্রা ছিল সবচেয়ে মারাত্মক স্তরে।
খুব খারাপ বায়ুর কোয়ালিটি সূচক মানে প্রাথমিকভাবে নিঃশ্বাস সংক্রান্ত সমস্যা হবে, পরে তা যত বাড়বে তা আরও মারাত্মক রোগের আকার নেবে। এর আগে দিল্লি কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (সিপিসিবি) দাবি করেছিল যে, ২০১৬-র দীপাবলির সময়ের তুলনায় এবার রাজধানী দূষণের পরিমাণ কম।