টিভিতে ঘৃণার মন্তব্য প্রচার! অ্যাঙ্করের ভূমিকা স্মরণ করাল সুপ্রিম কোর্ট
টিভি চ্যানেলে ঘৃণার মন্তব্য (hate speech) প্রচার নিয়ে তীব্র সমালোচনা সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। এব্যাপারে অ্যাঙ্করের (anchor) ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সর্বোচ্চ আদালত বলেছেন, তাদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি এব্যাপারে সরকার কেন নীরব দর্শক হয়ে রয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ
গত বছর দায়ের করা এক আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি কে এম জোসেফের পর্যবেক্ষণ মূলধারা মিডিয়া কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বক্তৃতাগুলি অনিয়ন্ত্রিত। তবে এব্যাপারে অ্যাঙ্করদের দেখতে হবে যাতে এই ধরনের কোনও বক্তব্য প্রচার যাতে না হয়। সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমরা আমেরিকার মতো মুক্ত না হলেও কোথায় সীমারেখা টানতে হবে তা জানা উচিত।
তিনি বলেছেন, ঘৃণার বক্তৃতা স্তরযুক্ত, যেভাবে কাউকে হত্যা করা হয়। এটা বিভিন্নভাবে করা যেতে পারে, ধীরে কিংবা অন্যভাবে। কেন দর্শকগের এই বক্তৃতার ওপরে আকর্শণ তা বলতে গিয়ে বিচারপতি বলেছেন, তারা আমাদের কিছু বিশ্বাসের ওপরে ভিত্তি করে আটকে রাখে।
সরকারের ভূমিকা কী?
এব্যাপারে সরকারের অবস্থান প্রসঙ্গে বিচারপতি বলেছেন এটা কি তুচ্ছ বিষয়? এব্যাপারে সরকারের প্রতিপক্ষের অবস্থান নেওয়া উচিত নয়, বরং আদালতকে সহায়তা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এব্যাপারে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ২৩ নভেম্বর। ঘৃণার মন্তব্য রোধ করতে আইন কমিশনের সুপারিশগুলি তারা লাগু করতে চায় কিনা।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আইন কমিশনের সুপারিশ
প্রসঙ্গত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আইন কমিশন ২০১৭ সালে নির্দিষ্ট আইনের সুপারিশ করে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, ভারতের কোনও আইনে ঘৃণার মন্তব্যের সংজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তবে কিছু আইনি বিধানে বাক স্বাধীনতার ব্যতিক্রম হিসেবে বাছাই করা কিছু মন্তব্যকে নিষেধের তালিকায় রেখেছে। এব্যাপারে আইনও রয়েছে। সেখানে ১৫৩সি ধারায় বিদ্বেষের প্ররোচনাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ৫০৫এ ধারায় ভয়, শঙ্কা কিংবা হিংসার উস্কানি দেওয়ার উল্লেখ রয়েছে।
টিভি শোয়ে ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ
সন্ধে
থেকে
রাতের
দিকে
বিভিন্ন
টিভি
শোয়ে
বিতর্ক
সভায়
এই
ক্লিপগুলি
দেখানো
হয়।
এছাড়াও
সোশ্যাল
মিডিয়াতেও
এই
ধরনের
ক্লিপ
ভাইরাল
হয়।
ফলে
এরাই
ঘৃণার
মন্তব্যের
বিরুদ্ধে
কোনও
ব্যবস্থা
নিচ্ছে
না
বলে
অভিযোগ
উঠেছে।
এইমাসের
শুরুর
দিকে
গুগল
ও
মেয়ার
তরফে
বলা
হয়েছে,
তাদের
পরিচালিত
ইউটিউব
এবং
ফেসবুক
এই
ধরনের
মন্তব্য
প্রচারের
বিরুদ্ধে
নতুন
করে
ব্যবস্থা
নেবে।
বিজেপি বিধায়কের আন্দোলনের 'অস্ত্র' দিল ছুট! গোভক্তি ফাঁস করেছেন গোমাতা, কটাক্ষ কংগ্রেসের