সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে জোর ধাক্কা বেদান্ত-র, খুলছে না তুতিকোরিনের স্টারলাইট প্ল্যান্ট
আপাতত খুলছে না তুতিকোরিনের স্টারলাইট কারখানা। সুপ্রিমকোর্ট এই কারখানা খোলার বিষয়ে কোনও নির্দেশ দিতে অস্বীকার করেছে।
আপাতত খুলছে না তুতিকোরিনের স্টারলাইট কারখানা। সুপ্রিমকোর্ট এই কারখানা খোলার বিষয়ে কোনও নির্দেশ দিতে অস্বীকার করেছে। বলতে গেলে গ্রিন ট্রাইবুন্যাল কারখানা খোলার বিষয়ে শর্তসাপেক্ষে একটা রাস্তা তৈরি করে দিলেও তা এদিন সুপ্রিম কোর্টের অবস্থানে ধাক্কা খেয়েছে। ২০১৮ সালের ২৮ মে থেকে তুতিকোরিনের বেদান্ত লিমিটেডের স্টারলাইট কারখানাটি বন্ধ রয়েছে।
ডিসেম্বর মাসের পনেরো তারিখে জাতীয় গ্রিন ট্রাইবুন্যাল বা এনজিটি একটি নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশে তামিলনাড়ুর দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে বলা হয় তিন সপ্তাহের মধ্যে স্টারলাইট প্ল্যান্টে কাজ শুরু করতে বেদান্তের কনসেন্ট-কে পুনুর্বিকরণ করে দিতে।
সোমবার সুপ্রিমকোর্টে গ্রিন ট্রাইবুন্য়ালের নির্দেশ নিয়ে এদিন কোনও মন্তব্য করেনি। তবে, প্ল্যান্ট খোলারা বিষয়ে তারা মাদ্রাস হাইকোর্টে বেদান্ত আবেদন করতে পারে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
গত ৩১ জানুয়ারি শীর্ষ আদালতে বেদান্ত অভিযোগ করে, তামিলনাড়ু সরকার তাদের সমানে হেনস্থা করছে এবং তাদের ব্যবসায়িক ভাবমূর্তিকে নষ্টা করার চেষ্টা চলছে। বেদান্ত আদালতকে জানিয়েছিল, কারখানা বন্ধ হওয়ার ছয় মাস পরে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সার্টিফিকেট দেখানোর সত্ত্বেও কারখানা খুলতে দেওয়া হয়নি।
১৮ ডিসেম্বর ২০১৮-তে বেদান্ত আদালত-কে জানিয়েছিল, এনজিটি যে যে শর্ত দিয়েছে তাতে কারখানায় বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকলে তা পূরণ করা মুশকিল। দূষণ-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে স্টারলাইটে বিক্ষোভ দেখান অসংখ্য মানুষ। বিক্ষোভ সামলাতে এসে পুলিশ গুলি চালায় ও লাঠি চার্জ করে। এতে ১৩ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়। এরপর তামিলনাড়ু সরকারের নির্দেশে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ স্টারলাইট প্ল্যান্ট বন্ধ করে দেয়।