জামিন খারিজ শীর্ষ আদালতের, কয়েদখানাতেই যেতে হচ্ছে বিচারপতি কারনানকে
মঙ্গলবার রাতে তামিলনাড়ু থেকে কারনানকে গ্রেফতারের পরই তড়িঘড়ি শীর্ষ আদালতে তাঁর জা্মিনের আবেদন করেন আইনজীবীরা। তবু শেষ রক্ষা হল না।
কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সি এস কারনানের জামিন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার রাতে তামিলনাড়ু থেকে কারনানকে গ্রেফতারের পরই তড়িঘড়ি শীর্ষ আদালতে তাঁর জা্মিনের আবেদন করেন আইনজীবীরা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি কারনানের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। এদিকে বুধবারই কলকাতায় আনা হয় তাঁকে। আপাতত প্রেসিডেন্সি জেলে রাখা হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে।
দেশের ইতিহাসে কারনানই প্রথম কর্মরত বিচারপতি, যাঁকে আদালত অবমাননার দায়ে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জগদীশ সিং খেহারের নেতৃত্বে সাত সদস্যের বেঞ্চ তাঁকে দোষীসাব্যস্ত করে ৬ মাসের কারাবাসের নির্দেশ দেয়।
এদিন তাঁর জামিন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেল অবসরপ্রাপ্ত এই বিচারপতিকে আগামী ছ'মাস কারান্তরালে থাকতে হচ্ছেই। গত ৯ মে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তাঁর সাজা ঘোষণার পর থেকে প্রায় দেড়মাস তিনি পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে গ্রেফতারি এড়িয়ে গিয়েছেন।
কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। মঙ্গলবার রাতে মোবাইলের সূত্র ধরে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এই কাজে তামিলনাড়ু পুলিশ সহযোগিতা করে কলকাতা পুলিশকে। তিনি কোয়েম্বাটোরের একটি প্রাইভেট রিসর্টে ছিলেন। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কলকাতা পুলিশের তিন সদস্যের একটি দল তিনদিন ধরে কোয়েম্বাটোরে ঘাঁটি গেড়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কারনানকে গ্রেফতার করতে।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট সাজা ঘোষণার পর ১২ জুন অবসর নেন সি এস কারনান। তিনি ভুয়ো নামে রিসর্টে লুকিয়েছিলেন। পুলিশকে এড়াতে তিনি সুইচড অফ করে রেখেছিলেন মোবাইল। কিন্তু সেই মোবাইলের সূত্র ধরেই তাঁকে গ্রেফতার করতে পারল পুলিশ।