গণধর্ষণ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয় নির্যাতিতার দেহ, মৃত্যুদণ্ডের রায় খারিজ করে দোষীদের মুক্তি সুপ্রিম কোর্টের
গণধর্ষণ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয় নির্যাতিতার দেহ, মৃত্যুদণ্ডের রায় খারিজ করে দোষীদের মুক্তি সুপ্রিম কোর্টের
নির্ভয়া মামলার কয়েকমাস আগে ২০১২ সালে দিল্লির এক তরুণীকে ধর্শণের পর নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। দিল্লি হাইকোর্ট তিনজন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে। তাদের মুক্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট। নিম্ন আদালতে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার রায় দেওয়া হয়। হাইকোর্টও একই রায় দেয়। সাজা কমানোর আবেদন করে দোষীরা। সুপ্রিম কোর্ট তাদের মুক্তি দিয়ে দেয়।
ধর্ষণের পর নির্মম অত্যাচার
২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এক যুবতীর বিকৃত এবং পোড়া দেহ হরিয়ানার রেওয়ারি জেলার একটি মাঠে পাওয়া যায়। কয়েকদিন আগেই ওই তরুণীকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তরুণীর পরিবার স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তরুণীর দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। পরীক্ষা করে জানা যায় গাড়ির সরঞ্জাম ও মাটির পাত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। দিল্লির নাজফগড়ের একটি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগে জানানো হয় তরুণীকে অপহরণ, ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছিল এবং দেহ রেওয়ারি মাঠে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনায় প্রধান তিন অভিযুক্ত রবি কুমার, রাহুল এবং বিনোদকে গ্রেফতার করে।
মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অপহরণ, ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে রবি কুমার, রাহুল এবং বিনোদকে দোষী সাব্যস্ত করে দিল্লির একটি আদালত। তাদের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখেছিল দিল্লি হাইকোর্ট। আদালতের তরফে দোষীদের শিকারি বলে উল্লেখ করা হয়। দিল্লি হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়, দোষীরা রাস্তায় শিকারের সন্ধানে ছিল।
সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ
সাজা কমানোর আবেদন জানিয়ে তিন জনেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ভারতের প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত এবং বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট এবং বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ হাইকোর্টের রায়কে প্রত্যাখ্যান করে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়, তিনজনকেই মুক্তি দিতে হবে। সুপ্রিম কোর্টে দিল্লি পুলিশ মৃত্যুদণ্ড কমানোর বিরোধিতা করেছিল। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, শুধু নির্যাতিতার বিচার নয়, সমাজের কাছে একটা কঠোর বার্তা যাওয়া প্রয়োজন। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ধর্ষণের নির্যাতন করা হয় তরুণীকে। দোষীরা একটা জঘন্য অপরাধ করেছে।
নির্যাতিতার পরিবারের বক্তব্য
নির্যাতিতার পরিবারের তরফে বাবা-মা এসেছিলেন। তিনি বলেন, মেয়ের ওপর অবিচার করা হয়েছে। দোষীদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর বিরোধিতা তাঁরা করছেন। তাঁরা এরপরে আইনি কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেই বিষয়ে আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করবেন। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টে দোষীদের আইনজীবী সাজা কমানোর আবেদনের প্রেক্ষিতে দোষীদের পারিবারিক অবস্থা ও অপরাধের পুরনো রেকর্ডের কথা বলেন।
চিনের সাহায্যে কোভিডের থেকেও মারাত্মক ভাইরাস নিয়ে কাজ! পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমের দাবিতে চাঞ্চল্য