শবরীমালা মন্দির নিয়ে রায়! মামলা গেল ৭ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে
শবরীমালা নিয়ে রায়! মামলা গেল ৭ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে
শবরীমালা মন্দির মামলা পাঠিয়ে দেওয়া হল সুপ্রিম কোর্টের সাত সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে। সব বয়সের মহিলাদের শবরীমালায় ঢুকতে দেওয়া নিয়ে রিভিউ পিটিশনের শুনানি করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতি। যাঁদের মধ্যে ৩-২-এ বিষয়টি আরও বড় বেঞ্চে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধান বিচারপতি-সহ তিনজনের সিদ্ধান্ত বড় সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানোর। অপর দুজন বিচারপতি আগের নির্দেশ বহাল রাখতে চেয়েছিলেন। নতুন রায় না আসা পর্যন্ত আগের রায়ই বহাল থাকবে।
রায় দিতে পারল না ৫ সদস্যের বেঞ্চ
শবরীমালা নিয়ে রিভিউ পিটিশনে পরিষ্কার কোনও রায় দিতে পারল না সুপ্রিম কোর্ট। এদিন জানা যায়, মামলার শুনানিতে থাকা পাঁচ বিচারপতির মধ্যে তিনজন মামলাটি আরও বড় কোনও বেঞ্চে পাঠাতে চান। আর বাকি দুজন চেয়েছিলেন আগের রায় বহাল রাখতে। সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ে তাই মামলাটি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সাত সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে। এই মামলায় প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ছাড়াও ছিলেন বিচারপতি আরএফ নরিম্যান, এএম খানউইলকার, ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, ইন্দু মালহোত্রা।
২০১৮-তে সুপ্রিম কোর্টের রায়
২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট ঐতিহাসিক রায়ে বলেছিল শবরীমালায় ঢুকতে পারবেন। সব বয়সের মহিলারা। দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলাদের ওপর মন্দিরে ঢোকা নিয়ে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ ৪-১-এ রায় দিয়েছিল।
অন্য ধর্মেও আছে 'সীমাবদ্ধতা'
এদিন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ রায়ের কপি পড়তে গিয়ে বলেন, দর্মে মহিলাদের সীমাবদ্ধতা শুধু শবরীমালাতেই নেই, অন্য ধর্মেও রয়েছে।
ধর্মীয়স্থানে হওয়া উচিত সাধারণ নীতি
এপ্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি বসেছেন, শীর্ষ আদালতের উচিত ধর্মীয় স্থানগুলির বিষয়ে সাধারণ নীতি প্রণয়ন করা।