Supreme Court: ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে কেন ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়নি? আরবিআই-কেন্দ্রকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
Supreme Court: ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে কেন ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়নি? আরবিআই-কেন্দ্রকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
দেশে ঋণ খেলাপির সংখ্যা বাড়ছে। ঋণ খেলাপিদের ঋণ খেলাপির পরিমাণ এখন আর হাজার কোটির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তা এখন কয়েক হাজার কোটিতে পৌঁছে গিয়েছে। এব্যাপারে এক মামলার শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকার এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে প্রশ্ন করেছে, কেন ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে না। এছাড়াও সর্বোচ্চ আদালত প্রশ্ন করেছে কেন ব্যাঙ্কিং সংস্কার নিয়ে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সুপারিশ এখনও কার্যকর করা হয়নি।
সরকার ও আরবিআইএ-র অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন
বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল, বিচারপতি অভয় এস ওখা এবং বিক্রম নাথের বেঞ্চ সরকার এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে প্রতিক্রিয়া জানাতে চার সপ্তাহের সময় দিয়েছে। বড় কোম্পানির অ্যাকাউন্টগুলিকে ফ্রড ঘোষণার পরেও কেন রাজ্যের পুলিশ এবং সিবিআই ঋণ গ্রহীতাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে দ্বিধাগ্রস্ত, সেই প্রশ্নও করেছে সর্বোচ্চ আদালত।
জনস্বার্থ মামলার শুনানি
সুপ্রিম কোর্টে ঋণ খেলাপি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই আমলায় সেন্টার ফর পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন নাম স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হয়ে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। এব্যাপারে তিনি ২০১৬-র ১ জুলাইয়ের আরবিআই-এর গাইড লাইনের কথা বলেছেন। যেখানে বলা হয়েছে, ঋণ খেলাপিদের নাম নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইটে দিতে হবে। অন্যদিকে তিনি সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশনের নির্দেশিকার কথা বলেছেন। যেখানে রাষ্ট্রয়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে বলা হয়েছিল ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে।
ফৌজদারি মামলা দায়ের করেনি
আইনজীবী শুনানির সময় বলেছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি শ্রেয়ী গোষ্ঠী কিংবা রিলায়েন্স গ্রুপের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে ফ্রড ঘোষণার পরেও সিবিআই-এর কাছে কোনও ফৌজদারি মামলা দায়ের করেনি।
প্রসঙ্গত প্রশান্ত ভূষণ ২০১৬-তে বলেছিলেন ২০১৫ সালে ঋণ গ্রহীতাদের প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার ঋণ মকুব করা হয়েছিল। অন্যদিকে আরবিআই-এর আইনজীবী জয়দীপ গুপ্তা আদালতে জানানয় ৫০০ কোটির ওপরে ঋণ খেলাপিদের নাম তারা মুখবন্ধ করা খামে সর্বোচ্চ আদালতে জমা দিয়েছিলেন ২০১৬-তে।
আরটিআই আইনের বিরোধিতা
তথ্য জানার অধিকার আইনে ঋণ খেলাপিদের নাম-সহ বিস্তারিত তথ্য জানানোর কথা ব্যাঙ্কগুলির। যদিও এব্যাপারে বিরোধিতা করেছে ব্যাঙ্কগুলি। এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক এবং অন্যরা এব্যাপারে আরবিআই-এর পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের ব্যক্তিগত বিবরণ, ঋণের পরিমাণ এবং অন্য তথ্য গোপণীয়। এইসব তথ্য গোপন রাখার ওপরে জোর দিয়েছে তারা। পাশাপাশি বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির দাবি, স্বচ্ছতা আইনের অধীনে তারা কোনও সরকারের অংশ নয়। সেই কারণে তারা এব্যাপারে আইন মানতে বাধ্য নয়।
Gujarat Election Results 2022: গুজরাতে ফের বিজেপি সরকার! কোন সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে?