হায়দরাবাদ এনকাউন্টার মামলায় মৃত চার অভিযুক্তের ফের একবার ময়নাতদন্ত, নির্দেশ সুপ্রিমকোর্টের
হায়দরাবাদ গণধর্ষণের ঘটনায় এনকাউন্টারে মৃত চার অভিযুক্তের অটোপসি করা হোক। আজ এই নির্দেশ দিল তেলাঙ্গানা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ, ২৩ ডিসেম্বর বিকেল পাঁচটার মধ্যে এই অটোপসির কাজ শেষ করতে হবে। দিল্লি এইমস-এর ফরেনসিক অফিসাররা অটোপসি করবেন। পুরো অটোপসির ভিডিও করে তা কোর্টে জমা দিতে হবে। অটোপসির পর মৃতদেহগুলি তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। বর্তমানে হায়দরাবাদের গান্ধী হাসপাতালে সংরক্ষিত রয়েছে মৃতদেহগুলি।
২৭ নভেম্বর ঘটে হায়দরাবাদে একটি নৃশংস ঘটনা ঘটে। হায়দরাবাদের থেকে কিছুটা দূরের শামসাবাদে ধর্ষণ করে পুরিয়ে মারা হয় একজন পশু চিকিৎসককে। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনকে ৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুননির্মাণ করানো হয়। সেই সময় পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ চার অভিযুক্তকেই গুলি করে। পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় গণধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্ত মহম্মদ আরিফ (২৬) , জল্লু শিবা (২০), জল্লু নবীন (২০) ও চেন্নাকেশাভুলুর (২০)৷ এদিকে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করেছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে বিভিন্ন মহলে।
চার অভিযুক্তের মৃতদেহ ঘটনাস্থান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ৷ ময়নাতদন্তের ভিডিও রেকর্ডিং আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তেলাঙ্গানা হাইকোর্ট চার অভিযুক্তের মৃতদেহ ৯ ডিসেম্বর (সোমবার) রাত ৮টা পর্যন্ত সংরক্ষণের নির্দেশ দেয়৷ আদালতের নির্দেশ ছিল দেহগুলির ময়নাতদন্ত ও অটোপসির ভিডিয়ো রেকর্ড করতে হবে৷ সোমবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয় ৷
সেই দিনই তেলাঙ্গানা সরকারের তরফে পুলিশি এনকাউন্টারের তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) গঠন করা হয়৷ ১২ ডিসেম্বর হায়দরাবাদ এনকাউন্টারের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। এই কমিটির প্রধান করা হয় সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ভি এস সিরপুরকরকে। এছাড়া কমিটিতে ছিলেন বম্বে হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রেখা বালডোটা ও প্রাক্তন সিবিআই ডিরেক্টর ডি আর কার্তিকেয়ন ।