ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে ভিনরাজ্যে আশ্রয় নেওয়া কর্মীদের নিয়ে কি ভাবছে সরকার? জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট
ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস এখনও অব্যাহত। শুধু তাই নয়, ভোটের পর সন্ত্রাসের জেরে পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাঁরা ভিনরাজ্যে পালিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের সাহায্যের ব্যবস্থা করা হোক। এ নিয়ে কী ভাবছে রাজ্য সরকার, তা জানতে চেয়ে নোটিস পাঠাল সুপ্রিমো
ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস এখনও অব্যাহত। শুধু তাই নয়, ভোটের পর সন্ত্রাসের জেরে পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাঁরা ভিনরাজ্যে পালিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের সাহায্যের ব্যবস্থা করা হোক। এ নিয়ে কী ভাবছে রাজ্য সরকার, তা জানতে চেয়ে নোটিস পাঠাল সুপ্রিমো কোর্ট।
যা অবশ্যই রাজ্যের কাছে বড় ধাক্কা হিসাবে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজনৈতিক হিংসায় মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির।
এরপরেই মৃত্যুর তদন্তে সিট গঠনের আবেদন জানিয়ে আগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় নিহতদের পরিবার। তার ভিত্তিতে রাজ্যের মতামত জানতে চেয়ে আগেও একবার নোটিস পাঠানো হয়েছিল। মঙ্গলবার নতুন করে নোটিস জারি হল। এই সব কিছু শীর্ষ আদালতে হলফনামা আকারে জমা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।
৭ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি। মাসখানেক আগেই রাজ্যে ভোট পর্ব শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনও সন্ত্রাস চলছে বাংলাজুড়ে। এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। উল্লেখ্য, হিংসার নিহত ২ বিজেপি কর্মীর পরিবারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়।
তাঁরা আদালতের কাছে আবেদন করে বলেণ যে, কোনও তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে নয়, এসব ঘটনার জন্য আলাদা করে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট তৈরি করা হোক। এ নিয়ে রাজ্যকে ইতিমধ্যেই নোটিস পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত। এছাড়া তাঁদের অভিযোগ অনুযায়ী, ভোটের পর অশান্তি, হামলার আশঙ্কায় প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতেও গাঢাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন একাধিক রাজনৈতিক দলের কর্মীরা।
অসমের ধুবড়িতে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী পালিয়ে গিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে গিয়ে দেখা করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও। এ নিয়ে এবার পদক্ষেপ নিল সুপ্রিম কোর্টও।
মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, অন্তত মানবিকতার খাতিরে রাজ্য ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়া বাসিন্দাদের জন্য ব্যবস্থা করুক সরকার।
তবে এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের কী ভাবনা, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী ৭ তারিখের মধ্যে রাজ্যের থেকে হলফনামা চাওয়া হয়েছে। এমনটাই সংবাদ প্রতিদিনের প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে।