শুনানি শেষে এবার যুক্তি পর্যালোচনার কাজ শুরু অযোধ্যা মামলায় নিযুক্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের
ধবার সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা জমি বিতর্ক নিয়ে ৪০ দিনের ম্যারাথন শুনানি শেষ হয়েছে। এবার সাংবিধানিক বেঞ্চের বিচারপতিরা যেসব যুক্তি তাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে, সেগুলিকে বিচার করে দেখবেন।
সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা জমি বিতর্ক নিয়ে বুধবার ৪০ দিনের ম্যারাথন শুনানি শেষ হয়েছে। এবার সাংবিধানিক বেঞ্চের বিচারপতিরা যেসব যুক্তি তাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে, সেগুলিকে বিচার করে দেখবেন। বৃহস্পতিবার থেকেই সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল এই মামলায় বিভিন্ন যুক্তি নিয়ে এবার কাজ শুরু করেছেন বিচারপতিরা।
সাংবিধানিক বেঞ্চে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ছাড়াও ছিলেন, এসএ ববদে, ডিওয়াই চন্দ্চূড়, অশোকভূষণ এবং এসএ নাজির। ৪০ দিনের ম্যারাথন শুনানি নিয়ে তাঁরা ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু করেছেন। পাশাপাশি বুধবার আদালত নিযুক্ত মেডিটেশন প্যানেল যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা করবেন।
২.৭৭ একর বিতর্কিত জমি নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের ২০১০ সালের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে ১৪ টি আবেদন জমা পড়েছিল। এলাহাবাদ হাইকোর্ট ওই জমি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া এবং রাম লালার মধ্যে ভাগ করে দিয়েছিল।
প্রাথমিকভাবে নিম্ন আদালতে ৫ টি মামলা করা হয়েছিল। যার প্রথমটি করেছিলেন রাম লালার ভক্ত গোপাল সিং ভিষারদ, ১৯৫০ সালে। যেখানে তিনি বলেছিলেন বিতর্কিত জমিতে হিন্দুদের পুজো দেওয়ার অধিকার দেওয়া উচিত। একই বছরে পরমহংস রামচন্দ্র দাসও মামলা করেছিলেন। পরে সেই আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
পরবর্তী সময়ে হির্মোহী আখড়া ১৯৫৯ সালে বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমির অধিকার চেয়ে ট্রায়াল কোর্টে যায়। এরপর ১৯৬১ সালে উত্তরপ্রদেশ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড আদালতে যায়। তারাও বিতর্কিত জমির অধিকার দাবি করে।
কিন্তু ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর মসজিদ ধ্বংসের পরে সব মামলাগুলিতে এলাহাবাদ হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
৬ অগাস্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে প্রতিদিনের শুনানি শুরু হয়। টানা ৪০ দিনের শুনানি শেষ ১৬ অক্টোবর। এর আগে অবশ্য সুপ্রিম কোর্টের তরফে তিন সদস্যের মেডিটেশন প্যানেলকে উপায় খুঁজতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেই প্যানেলে ছিলেন বিচারপতি এফএমআই কালিফুল্লা, আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশনের শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর এবং সিনিয়র আইনজীবী শ্রীরাম পঞ্চু। চারমাসের তাঁরা কোনও সামাধান সূত্রে খুঁজে বের করতে পারেননি।