ভোটের মুখে রাজনৈতিক দলগুলির 'গালভরা' প্রতিশ্রুতি, কেন্দ্র ও নির্বাচন কমিশনকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের
নির্বাচনের (Election) আগে রাজনৈতিক দলগুলি সাধারণ মানুষের মন পেতে বিনামূল্যে নানা প্রতিশ্রুতি (promise) দিয়ে থাকে। যা এবারের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেও বাদ যায়নি। এইসব প্রতিশ্রুতিকে গুরুতর বিষয় বলে উল্লেখ করে সুপ্
নির্বাচনের (Election) আগে রাজনৈতিক দলগুলি সাধারণ মানুষের মন পেতে বিনামূল্যে নানা প্রতিশ্রুতি (promise) দিয়ে থাকে। যা এবারের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেও বাদ যায়নি। এইসব প্রতিশ্রুতিকে গুরুতর বিষয় বলে উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তরফে কেন্দ্রীয় সরকারে (Central Govt) পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকেও (Election Commission) নোটিশ দিয়েছে।
আইন করে নিয়ন্ত্রণ চায় সুপ্রিম কোর্ট
যে কোনও ভোটের মুখে রাজনৈতিক দলগুলি গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে। সাধারণ মানুষের অনেকাংশ এই প্রতিশ্রুতি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের দিকে ঢলে পড়েই আবার কাউকে কাউকে কটাক্ষ করে বলতে শোনা যায়, প্রতিশ্রুতি তো, তার জন্য তো পয়সা দিতে হয় না। কেন্দ্র ও নির্বাচন কমিশনকে নোটিশ দিতে গিয়ে দেশের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা প্রশ্ন করেন, কীভাবে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। নির্বাচনের সময় কি এটা করা যায়, প্রশ্ন করেন তিনি। বিষয়টি গুরুতর, আগামী নির্বাচনের জন্য বিষয়টি ভাবতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। প্রতিশ্রুতির বাজেট, সাধারণ বাজেটের বাইরে চলে যায় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
একটা বৈঠক ডেকেই কাজ শেষ কমিশনের
দেশের
শীর্ষ
আদালত
আর
আগে
নির্বাচন
কমিশনকে
এই
ধরনের
প্রতিশ্রুতি
বন্ধে
গাইডলাইন
তৈরি
করতে
বলেছিল।
কিন্তু
নির্বাচন
কমিশন
এব্যাপারে
রাজনৈতিক
দলগুলিকে
ডেকে
শুধুমাত্র
তাদের
মতামত
জানতে
চেয়েছে।
একটি
শুনানিতে
সর্বোচ্চ
আদালত
নির্বাচন
কমিশনকে
নির্দেশ
দিয়েছিল
যেসব
দল
নির্বাচনের
আগে
জনগণের
তহবিল
থেকে
এই
ধরনের
প্রতিশ্রুতি
দেওয়ার
কথা
বলে,
তাদের
প্রতীক
বাজেয়াপ্ত
করা
হোক
কিংবা
সেই
রাজনৈতিক
দলের
স্বীকৃতি
বাতিল
করে
দেওয়া
হোক।
সুপ্রিম কোর্টে আবেদন
সুপ্রিম
কোর্টে
করা
আবেদনে
বলা
হয়েছে,
অযাচিত
রাজনৈতিক
সুবিধা
আদায়ে
এই
ধরনের
জনপ্রিয়
পদক্ষেপের
ওপরে
পুরোপুরি
নিষেধাজ্ঞা
জারি
করতে
হবে।
কেননা
বিষয়টি
সংবিধান
বিরোধী।
পাশাপাশি
নির্বাচন
কমিশনকেও
কড়া
ব্যবস্থা
নিতে
হবে।
সুপ্রিম
কোর্টে
করা
আবেদন
অশ্বিনী
কুমার
উপাধ্যায়
নামে
এক
আইনজীবী
বলেছেন,
নির্বাচনকে
সামনে
রেখে
প্রতিশ্রুতির
মাধ্যমে
রাজনৈতিক
দলগুলি
সাধারণ
মানুষের
ওপরে
প্রভাব
খাটানোর
চেষ্টা
করে।
।
এই
ধরনের
ঘটনা
বন্ধে
কেন্দ্রের
কাছ
থেকে
আইন
প্রণয়নের
দাবিও
তিনি
করেছেন।
বিষয়টি
গণতান্ত্রিক
মূল্যবোধ
এবং
সংবিধানের
ওপরে
আঘাত
বলেও
মন্তব্য
করেছেন
ওই
আইনজীবী।
বিষয়টিতে
অনৈতিক
বলে
দাবি
করে
ওই
আইনজীবী
বলেছেন,
ক্ষমতায়
থাকতে
যেন
ভোটদাতাদের
ঘুষ
দেওয়া
হচ্ছে।
নির্বাচনী আইনেও শর্ত আরোপের দাবি
সুপ্রিম
কোর্টে
করা
আবেদনে,
নির্বাচন
কমিশনকে
তাদের
আইনে
নতুন
শর্ত
আরোপের
নির্দেশ
দেওয়ার
আবেদন
করা
হয়েছে।
সেখানে
বলা
হয়েছে,
নির্বাচনী
প্রতীক
(সংরক্ষণ
ও
বরাদ্দ)
আদেশ
১৯৬৮-তে
অতিরিক্ত
শর্ত
যুক্ত
করা
হোক,
যেখানে
বলা
থাকবে
রাজনৈতিক
দলগুলি
নির্বাচনের
আগে
জনগণের
তহবিল
থেকে
এই
ধরনের
কোনও
প্রতিশ্রুতি
দেবে
না।
এই
মামলার
পরবর্তী
শুনানি
হবে
৪
সপ্তাহ
পরে।