কেন্দ্রকে নোটিশ জারি করলেও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের উপর স্থগিতাদেশ জারি করল না সুপ্রিম কোর্ট
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টে জমা পড়েছিল ৬০টি পৃথক আবেদন। সেই আবেদনগুলির ভিত্তিতেই আজ এক যৌথ শুনানি হয় সুপ্রিমকোর্টে। সেই শুনানি চলাকালীনই কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে এই সংক্রান্ত নোটিশ ইস্যু করেছে সুপ্রিমকোর্ট। এদিকে নোটিশ জারি করলেও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রণয়নের উপর স্থগিতাদেশ দেয়নি আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২২ জানুয়ারিতে। এই বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের বক্তব্য, আমরা কোনও আইনের উপর স্থগিতাদেশ জারি করতে পারে না।

কে কে আবেদন জানায়?
আজ ভারতের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি হয়। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন বিআর গাভাই এবং সূর্য কান্ত। আবেদনকারীদের মধ্যে আছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ এবং অসমে ক্ষমতাসীন বিজেপির সহযোগী দল অসম গণ পরিষদ।

আইনের বিরোধিতায় হিংসার ঘটনা
গত সপ্তাহে সংসদের উভয়কক্ষেই পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। এরপর ১২ ডিসেম্বর মধ্যরাতে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরিত হয়ে বিলটি পরিণত হয় আইনে। তবে আইনে পরিণত হলেও এটিকে মানতে নারাজ বিরোধী দলগুলি। পাশাাপশি অনেকগুলি অ-বিজেপি শাসিত রাজ্য ইতিমধ্যে জানিয়েও দিয়েছে তারা এই আইন প্রণোয়ন করবে না। এদিকে রাজনীতির উত্তাপ ছড়িয়েছে রাস্তায় ও দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একাধিক আবেদন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে।

নতুন আইনের শর্ত
নতুন এই আইনের শর্ত, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ বা তার আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে যে সমস্ত অমুসলিম শরণার্থীরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। অর্থাৎ, হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, পারসি বা জৈন ধর্মের যেই লোকেরা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে থেকে ভারতে বসবাস করেছেন, তারা ভারতের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। বিলটি গত সপ্তাহের সোমবার ৩১১-৮০ ব্যবধানে পাশ হয়। বুধবার রাজ্যসভায় এটি পাশ হয় ১২৫-৮২ ব্যবধানে।
নির্ভয়ার ধর্ষকের সাজা পুনর্বিবেচনার আর্জি শুনবে সপ্রিম কোর্টের নতুন বেঞ্চ