নির্বাচনী বন্ড বিক্রি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে কেন্দ্র, লম্বা শুনানির সম্ভাবনা
ভোটের মুখে নির্বাচনী বন্ডের অপব্যবহার, কেন্দ্রকে তিরষ্কার সুপ্রিম কোর্টের
জলঘোল
হতে
শুরু
করে
২০১৭
সালের
গোড়া
থেকেও।
বিরোধী
রাজনৈতিক
দল,
নির্বাচন
কমিশন
এবং
রিজার্ভ
ব্যাঙ্ক
অফ
ইন্ডিয়ার
প্রবল
বিরোধিতা
সত্বেও
২০১৭
সালে
তৎকালীন
কেন্দ্রীয়
অর্থমন্ত্রী
অরুণ
জেটলি
নির্বাচনী
বন্ড
চালু
করেন।
তখন
থেকেই
প্রতি
আর্থিক
ত্রৈমাসিকে
ভারতীয়
স্টেট
ব্যাঙ্ক
থেকে
এই
বন্ড
কেনা
যায়।
১
হাজার
থেকে
১
কোটি
পর্যন্ত
বন্ড
নিজের
ইচ্ছামতো
যে
কোনও
রাজনৈতিক
দলকে
দিতে
পারেন
ক্রেতা।
অভিযোগ এই বন্ডকে হাতিয়ার করেই দীর্ঘদিন থেকে গর্হিত উপায়ে ফায়দা তুলছে রাজনৈতিক দলগুলি। আর তা রুখতেই কিছুদিন আগে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয় অ্যাসোশিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস বা এডিআর। বিখ্যাত আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের পেশ করা আবেদনে বন্ডের স্বচ্ছতা প্রমাণের আগে পর্যন্ত পাঁচ রাজ্যে ভোটের মুখে তা বিক্রি সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করার দাবি জানানো হয়। যা নিয়েও তীব্র চাপৌনতর দেখা যায় রাজনৈতিক মহলে। এবার সেই মমলার শুনানিতেই এই নির্বাচনী বন্ডের সুরক্ষা ব্যবস্থা ও অপব্যবহার নিয়ে কেন্দ্রকে কার্যত তিরষ্কার করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এতদিন সরকারি শর্ত অনুযায়ী লোকসভা নির্বাচনের বছরে বন্ড কেনার জন্য অতিরিক্ত ৩০ দিন সময় দেওয়া হতো। বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে ছিল খানিক ভিন্ন বিধি। তবে লোকসভা হোক বা বিধানসভা ভোটে যে দল অন্তত ১% ভোট পেয়েছে, তারাই এই সুযোগ পাবে বলে জানানো হয়েছিল। তবে কোন ব্যক্তির থেকে বন্ড গ্রহণ করছে কোনও রাজনৈতিক দল তা প্রকাশ না করলেও চলত। আর এখানেই আশঙ্কা প্রকাশ করে এদিন শীর্ষ আদালাতের প্রধান বিচারপতি বলেন, “ ধরা যাক কোন দল কোনও ব্যক্তির থেকে ১০০ কোটি টাকা বন্ড মারফত অনুদান পেয়েছে। কিন্তু সেই টাকা কোনও অসৎ কাজে লাগানো হচ্ছে না সেই গ্যারেন্টি কোথায়? ”
বিজেপির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের প্রচারের কিছু দৃশ্য