ইসরাত জাহান মামলায় বরখাস্ত তদন্তকারী IPS! কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
ইসরত জাহান মামলায় তদন্তকারী আধিকারিক আইপিএস সতীশ চন্দ্র ভার্মার বরখাস্তের কেন্দ্রীয় সরকারি সিদ্ধান্তের ওপরে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। অবসর নেওয়ার একমাস আগে গত ৩০ অগাস্ট তাঁকে বরখাস্ত করে কেন্দ্র। তারপর তিনি দিল্লি হ
ইসরত জাহান মামলায় তদন্তকারী আধিকারিক আইপিএস সতীশ চন্দ্র ভার্মার বরখাস্তের কেন্দ্রীয় সরকারি সিদ্ধান্তের ওপরে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। অবসর নেওয়ার একমাস আগে গত ৩০ অগাস্ট তাঁকে বরখাস্ত করে কেন্দ্র। তারপর তিনি দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করতে, সেখানে কেন্দ্রের নির্দেশ বহাল রাখা হয়। এরপর সতীশ চন্দ্র ভার্মা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন।
হাইকোর্টে যাওয়ার জন্য সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি কেএম যোসেফ এবং হৃষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ সতীশ চন্দ্র ভার্মাকে হাইকোর্টে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য সোমবার বরখাস্তের ওপরে সময়সীমা বাড়িয়েছে। বরখাস্তের সময়সীমা আরও বাড়ানো হবে কিনা, তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সুপ্রিম কোর্টের তরফে হাইকোর্টের ওপরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে ভার্মার হয়ে শুনানিতে অংশ নেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল। তিনি বলেন, হাইকোর্ট ভার্মাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে শুনানির দিন ফেলেছে জানুয়ারিতে। যেখানে তার মক্কেল অবসর নিতে চলেছে ৩০ সেপ্টেম্বর।
আদালতে বিলম্ব
আগে
হাইকোর্ট
নির্দেশ
দিয়েছিল,
তাদের
অনুমতি
ছাড়া
ভার্মার
বিরুদ্ধে
কোনো
পদক্ষেপ
করা
যাবে
না।
এই
আদেশের
বিরুদ্ধে
সুপ্রিম
কোর্টে
আবেদন
করে
কেন্দ্র।
ভার্মার
বিরুদ্ধে
মামলা
হাইকোর্টের
বিবেচনাধীন
ছিল।
তবে
কেন্দ্র
বলেছে,
শীর্ষ
আদালতে
তাদের
আবেজন
হাইকোর্টে
বিষয়টি
বিলম্বিত
করেছে।
এরপর
৩০
অগাস্ট
হাইকোর্ট
কেন্দ্রকে
মামলাটি
নিয়ে
এগিয়ে
যাওয়ার
অনুমতি
দেয়।
সেই
দিনই
কেন্দ্র
ভার্মাকে
বরখাস্ত
করে।
সেখানেই
ভার্মার
আইনজীবী
কপিল
সিবাল
সরকারি
কর্মীদের
জন্য
থাকা
নিয়মের
উদ্ধৃতি
তুলে
ধরে
বলেন,
তাঁর
মক্কেলের
বিরুদ্ধে
তাড়াহুড়ো
করে
কাজ
করা
হয়েছে।
তিনি
বলেন,
কোনও
সরকারি
কর্মীর
চাকরির
মেয়াদকালে
কোনও
শাস্তিমূলক
ব্যবস্থা
নেওয়া
হলে
তা
অবসরের
পরেই
শেষ
করা
যেতে
পারে।
সুপ্রিম
কোর্ট
তাড়াহুড়োর
বিষয়টি
নোট
করেছে
বলে
জানা
গিয়েছে।
ভার্মার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন আইনজীবী
আদালতে করা আবেদনে ভার্মা বলেছেন, রাজ্য সরকারের সম্ভাব্য শিকার হয়েছিলেন তিনি। কেননা তিনি ইসরত জাহান এবং অন্য তিনজনকে হত্যার পিছনে আইবি এবং গুজরাত পুলিশের ভূমিকা উল্লেখ করেছিলেন। প্রসঙ্গত ভার্মা এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সিবিআইকেও সাহায্য করেছিলেন।
এক আধিকারিকের অভিযোগে ব্যবস্থা
এক্ষেত্রে সিবিআই এবং ভার্মা যে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করেছিলেন, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একজন আন্ডার সেক্রেটারি অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। ২০১৬-র মার্চে সতীশ চন্দ্র ভার্মা সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দেন। এই ঘটনাতেই তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ফেসমাস্কেই সনাক্ত হবে একের পর এক মারণ ভাইরাস! মোবাইলে জানতে পারবেন পরিধানকারী