কাঁথি পুরসভার নির্বাচনে হাইকোর্টের নির্দেশ পাল্টে গেল, বড় সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের
কাঁথি পুরসভার নির্বাচন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে রায় দিয়েছে আদালত।
কাঁথি পুরসভার নির্বাচন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে রায় দিয়েছে আদালত। এই প্রবণতা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত বিপজ্জনক রূপ নেবে। তাই কিছু কিছু ব্যাপারে আদালতের হস্তক্ষেপ না করাই শ্রেয়।
সম্প্রতি কাঁথি পুরসভা নির্বাচনের সিসিটিভি ক্যামেরার ফরেনসিক পরীক্ষা কেন্দ্রীয় ফরেনসিক ল্যাবরেটরি থেকে করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমো কোর্টে মামলা করা হয়। হাইকোর্টের আদেশের উপর স্থগিতাদের দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এবং এ ব্যাপারে হাইকোর্টে সমালোচনাও করে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি সূর্যকান্তের ডিভিশন বেঞ্চ হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ভোট সম্পন্ন হয়েছে। ফলাফলও বেরিয়ে গিয়েছে। তারপর আদালতের এই নির্দেশের মাধ্যমে আদালত তাঁর এক্তিয়ার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এর ফলে এক সাংঘাতিক প্রবণতা তৈরি হবে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে। যা অস্থিরতা বাড়াতে পারে রাজনীতির প্রেক্ষাপটে।
পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি পুরসভায় রিগিং, সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সিসিটিভি ফুটেজ ফরেন্সিক পরীক্ষায় আবেদনে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন বিজেপি নেতা তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। সেই মামলায় হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ফরেনসিক ল্যাবে সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার।
এরপর রাজ্য নির্বাচন কমিশন হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করে সু্প্রিম কোর্টে। ২৬ এপ্রিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়। ১০ দিনের মধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ কেন্দ্রীয় ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হবে বলে জানিয়েছিল কোর্ট। এরপর সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের পর তা থমকে যায়। এদিন হাইকোর্টের সেই নির্দেশের রায়ের উপরই স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, কারও মনে হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ বিকৃত করা হয়েছে। তাতে কেন ফরেন্সিক অডিট করা হবে। কোনও ভোটার বা সদস্য একে চ্যালেঞ্জ করেননি। মাত্র ৮টি বুথের জন্য ফরেনসিক পরীক্ষার দাবিতে জনস্বার্থ মমলা করা হয়েছে। কিন্তু ৮২টি বুথ তো ব্যতিক্রম? ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পর জনস্বার্থ মামলা কেন? নির্বাচন প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা যায় না। বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, এটা কোনও জনস্বার্থ মামলা হতে পারে না, এটা নির্বাচনী আবেদন। তাই এর কোনও অর্থ হয় না।