গণপিটুনি নিয়ে রাজ্যগুলি কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সাত দিনে রিপোর্ট চাইল সুপ্রিম কোর্ট
এদিন নতুন এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল মুখ্য বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
সমকামীদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে সুরক্ষিত করার পরে সারা দেশে সুপ্রিম কোর্টের নামে ধন্য ধন্য পড়ে গিয়েছে। দেশের আইন ব্যবস্থার পীঠস্থান ফের একবার আইনের সুবিচারের পাঠ পড়িয়েছে দেশবাসীকে। তবে এতেই থেমে নেই সর্বোচ্চ আদালত। এই ঐতিহাসিক রায়ের পরই এদিন নতুন এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল মুখ্য বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
সারা দেশে গণপিটুনি রুখতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্য সরকারগুলি কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চেয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। মাত্র ৯টি রাজ্য জবাব দিয়েছে। এরপরই এদিন আদালত নির্দেশ দিয়েছে, বাকী রাজ্যগুলিকে সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে হবে। তা না করতে পারলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে সমন পাঠানো হবে।
গোরক্ষার নামে হত্যা নিয়ে আদালতের নির্দেশের পর একদল মন্ত্রীকে কেন্দ্র আইন বলবতের জন্য নিয়োগ করেছে বলে জানিয়েছে। গত জুলাই মাসের ২০ তারিখ রাজস্থানে গণপিচুনিতে মারা যান ডেয়ারি চাষি রাকবর খান। সেই ঘটনায় আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কংগ্রেস নেতা তেহসান পুনাওয়ালা। ঠিক তার আগেই ১৭ জুলাই আদালত স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল, এই ধরনের অপরাধ কোনওভাবে বরদাস্ত করা হবে না। নতুন আইন পাশ করতেও কেন্দ্রকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
সারা দেশের মধ্যে মাত্র ৯টি রাজ্যে মোট গণপিটুনির ঘটনার দুই তৃতীয়াংশ হয়েছে। এই রাজ্যগুলির দিকেই সুপ্রিম কোর্টের শ্যেন দৃষ্টি রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে আইন প্রণয়নে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি, আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদদের নিয়ে কেন্দ্র কমিটি তৈরি করে দিয়েছে।