স্বল্প মেয়াদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ, তীব্র বিরক্তি প্রকাশ সুপ্রিম কোর্টের
স্বল্প মেয়াদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিরক্ত প্রকাশ সুপ্রিম কোর্টের
স্বপ্ল মেয়াদের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়লে কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্ট বলে, সংবিধানের অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ও তাঁর মেয়াদের স্পষ্ট কোনও ধারণা নেই। এর ফলে ঘন ঘন নির্বাচন কমিশনার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের একটা বিরক্তিকর প্রবণতা দেখতে পাওয়া গিয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টের বিরক্তি
সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছ, ২০০৪ সালের পর থেকে কোনও প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছয় বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ করেছে। কেন্দ্রের ঘন ঘন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে কেন্দ্র বিরক্তি প্রকাশ করেছে। সুপ্রিম কোর্ট বলে, ইউপিএ-এর ১০ বছরের শাসনকালে ছয়টি এবং এনডিএ সরকারের আট বছরের শাসনকালে আটটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করা হয়েছে। দেশের শীর্ষ আদালত সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদকে উদ্ধৃতি করে। এই অনুচ্ছেদে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। সেখানে সুপ্রিম কোর্ট বলে, এই অনুচ্ছেদে এত ঘন ঘন প্রধান নির্বাচন কমিশন নিয়োগের কথা বলা হয়নি। জানা যায় প্রধান নির্বাচন কমিশন নিয়োগের জন্য লোকসভায় একটি বিল পেশ করে আইন তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাব এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। গত ৭২বছরে লোকসভা এই বিষয়ে স্পষ্ট কোনও আইন তৈরি করতে পারেনি বলেই সুপ্রিম কোর্ট ক্ষোভ প্রকাশ করে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে স্পষ্ট আইনের অভাব
বিচারপতি কে এম জোসেফের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ একটি মামলার শুনানিতে জানায়, ইউপিএ সরকারের ১০ বছরে ছয়টি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিল। বর্তমানে এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আছে। এনডিএ সরকারের গত আট বছরে আট জন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ করা হয়েছে। দেশের সরকারের ঘন ঘন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের একটি বিরক্তিকর প্রবণতা দেখতে পাওয়া গিয়েছে। আমাদের সংবিধানে প্রধান নির্বাচন কমিশন নিয়োগের স্পষ্ট কোনও নিয়ম নেই। তারই সুযোগ কেন্দ্র সরকার নিচ্ছে বলে সপুপ্রিম কোর্টের নির্বাচন কমিশন জানায়। কিন্তু আইনের অভাবে কিছুই করা যাচ্ছে না বলে সুপ্রিম কোর্টের সংবিধানিক বেঞ্চ জানায়।
ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নির্বাচন কমিশন
বিচারপতি অজয় রাস্তোগি, অনিরুদ্ধ বোস, হৃষিকেশ রায় এবং সিটি রবিকুমারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে বলা হয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান। প্রতিষ্ঠানের সংস্কার ছাড়াও তাঁর একাধিক কাজ করার থাকে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনার এত কম মেয়াদের জন্য আসে যে তাঁদের কিছুই করার থাকে না। সংবিধান বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, যদি ২০০৪ সালের পর থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের তালিকার দিকে দেখা যায়, সেক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যাবে ২০০৪ সালের পর থেকে কোনও প্রধান নির্বাচন কমিশনার দুই বছরের বেশি পদে ছিলেন। এই ধরনের ঘটনায় সব থেকে বেশি প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।