সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা খেল বিরোধীরা! রাফালে নিয়ে পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ
রাফালে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে করা রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে খারিজ হয়ে গিয়েছে রাফালে চুক্তিতে সিবিআই তদন্তের দাবিও। এব্যাপারে ২০১৮-র সুপ্রিম কোর্টের রায় বহাল রাখা হয়েছে।
রাফালে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে করা রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে খারিজ হয়ে গিয়েছে রাফালে চুক্তিতে সিবিআই তদন্তের দাবিও। এব্যাপারে ২০১৮-র শেষে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখা হয়েছে। এই রায়ের ফলে রাফালে নিয়ে মোদী সরকার ফের একবার ক্লিনচিট পেয়ে গেল।
২০১৮-র পর ফের ক্লিনচিট মোদী সরকারকে
২০১৮-র ১৪ ডিসেম্বরের রায়ে সুপ্রিম কোর্ট কার্যত ক্লিনচিট দিয়েছিল মোদী সরকারকে। ফ্রান্স থেকে ৩৬ টি রাফালে কেনা নিয়ে তদন্তের আবেদন জানানো হয়েছিল। তবে ১৪ নভেম্বরের রায়ে ফের একবার মোদী সরকারকে ক্লিনচিট দেওয়া হল। ১০ মে-তে শুনানি শেষ হওয়ার পর তাদের সিদ্ধান্ত রিজার্ভে রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট।
সিবিআই তদন্তের দাবি খারিজ সুপ্রিম কোর্ট
২০১৮-র ১৪ ডিসেম্বর তাদের রায়ে সুপ্রিম কোর্ট রাফালে নিয়ে আদালতের নজরদারিতে তদন্তের দাবি খারিজ করে দিয়েছিল। যুদ্ধ বিমানের দাম কী হওয়া উচিত তা নির্ধারণ করা তাদের কাজ নয় বলেও জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এবারের রায়েও আদালতের নজরদারিতে বিষয়টি নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন, শুনানিতে ৩ বিচারপতি
রাফালে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিচিশন দাখিল করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশোবন্ত সিনহা, অরুণ শৌরি এবং আইনজীবী প্রশান্তভূষণ। তাঁরা ৫৮ হাজার কোটির এই চুক্তি নিয়ে এফআইআর দায়েরের দাবি করেছিলেন। বৃহস্পতিবার রাফালে নিয়ে রায় দেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ। এই বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন, কিষাণ কাউল এবং কেএম জোসেফ। মামলায় মেরিটের অভাবের কথা জানিয়ে তা খারিজ করে দেওয়া হয়।
কেন্দ্রের বিরোধিতা
প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৩৬ টি রাফালে ক্রয়ের জন্য চুক্তি করেন ২০১৫-র ১০ এপ্রিল। সেই সময় এয়ারফোর্সের সদর দফতর থেকে সেরকম কোনও চাহিদার কথা বলা হয়নি। ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল থেকেও কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। রিভিউ পিটিশনের বিরুদ্ধে পাল্টা হলফনামা দাখিল করেছিল কেন্দ্র। তাতে বলা হয়েছিল, বিষয়টি দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত, স্পর্শকাতর ইস্যু। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছিল, পিটিশন করা হয়েছে মিডিয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে। তাই এই মামলা পুনরায় শুরু করা উচিত হবে না।