বেতন বাকি থাকলেও পড়ুয়াদের অনলাইনে ক্লাস বন্ধ করা যাবে না, স্কুলগুলিকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
বেতন বাকি থাকলেও পড়ুয়াদের অনলাইনে ক্লাস বন্ধ করা যাবে না
করোনার দ্বিতীয় ওয়েভের চোখ রাঙানি ফের আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা দেশে। যার জেরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি আংশিকভাবে খুললেও সংক্রমণের ভয়ে তা ফের বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। বেশ কিছু রাজ্যে জারি হয়েছে আংশিক লকডাউন ও নৈশ কার্ফুও। বিভিন্ন স্কুলে গত বছরের মতোই চলছে অনলাইনে পঠন–পাঠন। পাশাপাশি অনলাইনে পড়াশোনা চলার কারণে মহামারির সময়েও দিতে হচ্ছে পুরো বেতন। আর মহামারির সময়ে বেতন কাঠামো ঠিক করার জন্য নড়েচড়ে বসেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট রাজস্থানের প্রায় ৩৬ হাজার বেসরকারি স্কুলকে ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষে বার্ষিক বেতন ১৫ শতাংশ কম করার নির্দেশ দিয়েছে। শুধু তাই নয়, কোভিড মহামারির সময় যদি কোনও পড়ুয়ার বেতন বাকি থাকে তাও তাকে অনলাইন ক্লাস করার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না এবং পরীক্ষার ফলাফলও আটকানো যাবে না বলেই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। শীর্ষ আদালত রাজস্থান স্কুল (রেগুলেশন অফ ফি) আইন, ২০১৬ এবং সরকার-বাধ্যতামূলক পদ্ধতি দ্বারা স্কুল ফি নির্ধারণের আইনের অধীনে থাকা বিধিগুলির চ্যালেঞ্জ প্রত্যাখ্যান করে রাজস্থান হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে।
বিচারপতি এ এম খানউইলকার এবং বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরীর বেঞ্চ তাদের দেওয়া ১২৮ পৃষ্ঠার রায়ে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের জন্য ছাত্র বা অভিভাবক ছটি সমান কিস্তিতে দিতে পারবে বেতন এই পরিস্থিতিতে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এ এম খানউইলকার রায়ের সময় উল্লেখ করে জানিয়েছেন, দেশে মহামারির কারণে লকডাউনে এক কঠিন পরিস্থিতির সামনে এসে দাঁড়িয়েছে সকলে। লকডাউনের ফলে প্রভাব পড়েছিল অর্থনীতি এবং সকলের ক্রয় ক্ষমতা সহ সামগ্রিকভাবে ব্যক্তি, উদ্যোক্তা, শিল্প এবং জাতির ওপরে। এই সময়ে একটা বিরাট অংশের মানুষ জীবিকা হারিয়েছে। অনেকে তাদের নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো না যোগার করতে পারলেও বাচ্চাদের স্কুলগুলি চালিয়ে গেছে বলেনও জানান বিচারপতি।
ভোট পরবর্তী হিংসা এবং করোনার বাড়বাড়ন্ত! কালীঘাটের বাড়িতে জরুরী বৈঠক ডাকলেন মমতা
এর পাশাপাশি আরও উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ২০১৬ আইন অনুযায়ী সমস্ত স্কুল ছাত্রদের থেকে বেতন নিতে পারে, তবে সেই ক্ষেত্রে মহামারীর কারণে ১৫ শতাংশ ছাড় দিতে হবে প্রতিটা স্কুলের তরফে। সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী ২০২১ সালের ৫ অগাস্টের আগে এই বেসরকারি স্কুলের বেতন দেওয়া যাবে। আগামী দিনে পড়ুয়াদের সুবিধার জন্য আরও বেশ কিছু ছাড় দিতে পারে স্কুলগুলি।